[email protected] ঢাকা | সোমবার, ১৫ই ডিসেম্বর ২০২৫, ১লা পৌষ ১৪৩২
thecitybank.com

যে দোয়ার পর নবীজি সা. তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন

চাঁপাই জার্নাল ডেস্ক:

প্রকাশিত:
১৪ ডিসেম্বার ২০২৫, ১৮:৩৭

ছবি: সংগ্রহীত
পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পাশাপাশি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় অন্যতম একটি নফল ইবাদত
 
পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পাশাপাশি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় অন্যতম একটি নফল ইবাদত। এর ফজিলত ও সওয়াবও অনেক। ফরজ নামাজের পর তাহাজ্জুদ নামাজ সবচেয়ে উত্তম।
 
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মহামহিম আল্লাহ তা’য়ালা প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকাকালে নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করে ঘোষণা করতে থাকেন- কে আছে এমন যে আমাকে ডাকবে? আমি তার ডাকে সাড়া দেবো। কে আছ এমন যে আমার কাছে চাইবে? আমি তাকে তা দেবো। কে আছ এমন আমার কাছে ক্ষমা চাইবে? আমি তাকে ক্ষমা করবো। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১০৭৯)
 
হাদিস অনুযায়ী, মধ্যরাতের পর থেকে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া ভালো। আর শেষ রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা সবচেয়ে উত্তম। তবে ফজরের ওয়াক্ত হয়ে গেলে তাহাজ্জুদ পড়া যাবে না। ইবনু ওমর (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, সুবহে সাদিকের সঙ্গে সঙ্গে রাতের সালাত (তাহাজ্জুদ) ও বিতরের ওয়াক্ত চলে যায়। সুতরাং, তোমরা সুবহে সাদিকের পূর্বেই বিতর আদায় করে নেবে। (সুনান আত তিরমিজি, হাদিস: ৪৬৯)
 
আরও পড়ুন: আকিকা না দিলে আসলেই সন্তানের ওপর বিপদ-আপদ লেগে থাকে?
 
এ ক্ষেত্রে তাহাজ্জুদের সময় বিশেষ একটি দোয়া রয়েছে। যেটি পাঠ করে নবীজি (সা.) তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতেন। ইবন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাঝরাতে যখন সালাতের (তাহাজ্জুদ) উদ্দেশ্যে উঠতেন তখন বলতেন-
 
اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ قَيِّمُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ، لَكَ مُلْكُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ، وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ نُورُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ، وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ الْحَقُّ، وَوَعْدُكَ الْحَقُّ، وَلِقَاؤُكَ حَقٌّ، وَقَوْلُكَ حَقٌّ، وَالْجَنَّةُ حَقٌّ، وَالنَّارُ حَقٌّ، وَالنَّبِيُّونَ حَقٌّ، وَمُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم حَقٌّ، وَالسَّاعَةُ حَقٌّ، اللَّهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ، وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ، وَبِكَ خَاصَمْتُ، وَإِلَيْكَ حَاكَمْتُ، فَاغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ، وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ، أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ ـ أَوْ لاَ إِلَهَ غَيْرُكَ 
 
বাংলা: আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু আংতা কায়্যিমুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি ওয়া মান ফিইহিন্না ওয়া লাকালহামদু। লাকা মুলকুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি ওয়া মান ফিইহিন্না। ওয়া লাকাল হামদু আংতা নুরুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ। ওয়া লাকাল হামদু আংতাল হাক্কু। ওয়া ওয়া’দুকাল হাক্কু। ওয়া লিক্বাউকা হাক্কু। ওয়াল জান্নাতু হাক্কু। ওয়ান নারু হাক্কু। ওয়ান নাবিয়্যুনা হাক্কু। ওয়া মুহাম্মাদুন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা হাক্কু। ওয়াস সাআতু হাক্কু। আল্লাহুম্মা লাকা আসলামতু। ওয়াবিকা আমাংতু ওয়া আলাইকা তাওয়াক্কালতু। ওয়া ইলাইকা আনাবতু। ওয়া বিকা খাসামতু। ওয়া ইলাইকা হাকামতু। ফাগফিরলি মা কাদ্দামতু ওয়ামা আখ্খারতু। ওয়ামা আসরারতু ওয়ামা আ’লাংতু। আংতাল মুকাদ্দিমু ওয়া আংতাল মুআখ্খিরু। লা ইলাহা ইল্লা আংতা। লা ইলাহা গাইরুকা।
 
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনার জন্যই যাবতীয় প্রশংসা, আপনিই আসমান জমিনের নূর (জ্যোতি), আপনারই সব প্রশংসা, আপনিই আসমান জমিনের রক্ষক, আপনার জন্যই সব প্রশংসা, আপনি আসমান জমিনের মধ্যে যা কিছু রয়েছে সে সবের রব। আপনিই সত্য, আপনার ওয়াদা সত্য, আপনার বাণী সত্য, আপনার সাক্ষাৎ সত্য, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য, কিয়ামত সত্য। হে আল্লাহ! আপনার কাছেই আত্মসমর্পণ করছি, আপনার প্রতি ঈমান স্থাপন করছি, আপনার উপরই ভরসা করছি, আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তন করছি, আপনারই প্রদত্ত সত্য প্রমাণ নিয়ে দুশমনের মুকাবিলা করছি, আপনারই কাছে ফয়সালা ন্যস্ত করছি। তাই আমার যা কিছু পূর্বাপর এবং গোপন ও প্রকাশ্য, সে সব ক্ষমা করুন। মা’বুদ আপনি ব্যতীত আমার কোনো ইলাহ নেই। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১০৫৪; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৬৮১)
 
ডেস্ক/ই.ই

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর