[email protected] ঢাকা | শুক্রবার, ২৮শে নভেম্বর ২০২৫, ১৪ই অগ্রহায়ণ ১৪৩২
thecitybank.com

সব সময় জিকিরের ফজিলত

চাঁপাই জার্নাল ডেস্ক:

প্রকাশিত:
২৬ নভেম্বার ২০২৫, ১৮:৫১

ছবি: সংগ্রহীত
ইসলামে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ ইবাদত হলো আল্লাহর জিকির বা আল্লাহকে স্মরণ করা। জিকিরের উপকারিতা অফুরন্ত।জিকিরের ১০০টি উপকারিতা উল্লেখ করেছেন ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.)। এর মধ্যে অন্যতম হলো, আল্লাহর সান্নিধ্য, শয়তানের ধোঁকা থেকে সুরক্ষা, অন্তরের শান্তি, জান্নাতের নিশ্চয়তা, দুঃশ্চিন্তা ও গুনাহ থেকে মুক্তি ইত্যাদি।
 
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, আল্লাহর স্মরণেই হৃদয় প্রশান্তি লাভ করে। (সুরা রাদ, আয়াত : ২৮)
 
কেউ নবী (সা.)-কে একবার জিজ্ঞেস করেছিল, ইসলামের বিধি-বিধান অনেক বেশি, সব মনে রাখা কঠিন। আমাকে এমন একটি আমল সম্পর্কে বলুন, যা আমি সবসময় করতে পারি। নবী (সা.) উত্তর দিলেন, তোমার জিহ্বা যেন সবসময় আল্লাহর জিকিরে ব্যস্ত থাকে। (তিরমিজি)
 
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) সব সময় আল্লাহর জিকির করতেন। (সহিহ মুসলিম)
 
এক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমি বান্দার সাথে তেমন ব্যবহার করি  যেমন সে আমার প্রতি ধারণা রাখে। সে যখন আমাকে স্মরণ করে আমি তার সাথে থাকি। সে যদি আমাকে অন্তরে স্মরণ করে আমিও তাকে অন্তরে স্মরণ করি। সে যদি কোনো মজলিসে আমার কথা আলোচনা করে তবে আমি তার চেয়ে উত্তম মজলিসে তার আলোচনা করি। (সহিহ বুখারি)
 
অন্য হাদিসে হজরত আবু মুসা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে তার প্রতিপালককে স্মরণ করে  আর যে করে না তাদের দৃষ্টান্ত হল জীবিত ও মৃতের মতো। (অর্থাৎ যে আল্লাহকে স্মরণ করে সে জীবিত। আর যে স্মরণ করে না সে মৃত)। (সহিহ বুখারি)
 
জিকির যেকোনো সময় এবং যেকোনো অবস্থায় করা যায়। তবে উত্তম হচ্ছে সম্ভব হলে অজু অবস্থায় জিকির করা। তবে অজু না থাকলেও জিকির করা যায়
 
ডেস্ক/ই.ই

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর