[email protected] ঢাকা | শুক্রবার, ২৮শে নভেম্বর ২০২৫, ১৪ই অগ্রহায়ণ ১৪৩২
thecitybank.com

পৃথিবীকে জয় করতে হলে রাসূল (সা:) এর শিক্ষা পদ্ধতি অনুসরণের বিকল্প নেই

চাঁপাই জার্নাল ডেস্ক:

প্রকাশিত:
২৫ নভেম্বার ২০২৫, ২০:২৬

ছবি: সংগ্রহীত
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ও লেখক ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, হযরত মুহাম্মদ (সা:) ছিলেন মানবতার আদর্শ শিক্ষক ও পর্যবেক্ষক। তিনি ছিলেন আমাদের পথপ্রদর্শক। আমরা যদি তার শিক্ষা পদ্ধতি অনুসরণ করি, তাহলে শ্রেষ্ঠ জাতি হয়ে উঠবো। তাই পৃথিবীকে জয় করতে হলে হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর শিক্ষা পদ্ধতি অনুসরণের বিকল্প নেই। 
 
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত 'হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর শিক্ষা পদ্ধতি’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
 
মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, রাসূল (সা:) সাহাবী ও শিশুদেরকে পিতৃস্নেহে পড়াতেন। তিনি বাবা-মা যেমন সন্তানকে আদর-যত্ন করে পড়াতেন, তেমনি করে তিনিও শিক্ষা দিতেন। সকল বিষয়ে তিনি জ্ঞান রাখতেন এবং সহজ ও সাবলীলভাবে উপস্থাপন করতেন। রাসূল বলেছেন, তোমরা আমাকে জটিলকারী হিসেবে বা কঠোরতাকারী হিসেবে ধরিও না। আল্লাহ আমাকে সেরকম করে পাঠাননি। বরং তিনি আমাকে সহজ শিক্ষক হিসেবে পাঠিয়েছেন। এজন্য রাসূল সা: এর শিক্ষা পেলে মানুষ আশাবাদী হয়ে ওঠতেন।
 
আজহারী আরও বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা:) বলেছেন, তোমরা দ্বীনকে সহজ করো, কঠিন করো না এবং মানুষকে দ্বীন থেকে বাগিয়ে দিও না। এমনভাবে উপস্থাপন করো যেন সে জীবনের সাথে খাপ খাওয়াতে পারে। তিনি মানুষের সাথে ধীরে আস্তে কথা বলতেন। তিনি এমনভাবে কথা বলতেন যেন তিনি কথার সময় কয়টা শব্দ বলেছেন সেটাও গুণে ফেলা যেত। সবাই তার কথা মুখস্থ করে নিতে পারতো। তার মধ্যে আদর্শ শিক্ষকের সব বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান ছিল।
 
রাসূল সা: এর শিক্ষা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে আজহারী বলেন, তিনি ওয়ান টু ওয়ান মিটিং করতেন। আবার একাধিক বা অনেককে একসাথে নিয়ে আলোচনা করতেন। তার শিক্ষা পদ্ধতি ছিল দুই ধরনের। প্রথমটি হলো প্রাইভেট, দ্বিতীয়টি হলো পাবলিক। তিনি যখন উট, খচ্চর, গাধার পিঠে কাউকে নিতেন তখন প্রাইভেট আলোচনা করতেন আর যখন সমাবেশ বা খুতবা দিতেন তখন পাবলিক। 
 
রাসূল (সা:) বেশিরভাগ প্রশ্নের মাধ্যমে শিক্ষা দিতেন উল্লেখ করে মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, রাসূল (সা:) সাহাবিদের প্রশ্ন করতেন এবং উত্তর পেলে তাদেরকে উৎসাহ দিতেন। আবার সাবাহাদের অ্যাসাইনমেন্ট দিতেন। তিনি যেকোনো জিনিসকে গুরুত্ব দিতে ৩ বার বলতেন। বিদায় হজের ভাষণে তিনি ৩ বার সাক্ষ্য নিয়েছেন জনতার কাছ থেকে। তিনি গুরুত্ব বোঝাতে কসম করতেন এবং হাত, পা, আঙ্গুল দিয়ে অঙ্গভঙ্গি করে বোঝাতেন।
 
আজহারী বলেন, রাসূল (সা:) কার কি ঘাটতি রয়েছে, সেটি তিনি বুঝতেন। এজন্য একই প্রশ্নের উত্তর ভিন্ন ভিন্নভাবে দিতেন। প্রশ্নের ওপর প্রশ্ন ছুড়ে দিতেন। উত্তর জানতে আগ্রহী করে তুলতেন। তিনি ভুল শোধরাতেন চমৎকারভাবে। তিনি ছিলেন গুড অবজারর্বার। তিনি জিবরাঈল আ: কে কোরআন শোনাতেন এবং তার কাছ থেকে কোরআন তেলওয়াত শুনতেন। বিভিন্ন ভাষা শেখতে উৎসাহ দিতেন। তিনি ইহুদিদের চিঠি লেখার জন্য এক সাহাবাকে হিব্রু ভাষা শেখার নির্দেশ দেন।
 
হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর শিক্ষা পদ্ধতি-শীর্ষক এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী। অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান আ ন ম শামসুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শাহজাহান, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
 
ডেস্ক/ই.ই

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর