দুনিয়া ও ধন-সম্পদের মোহে পড়ে মানুষ আল্লাহ, পরকাল ও চিরস্থায়ী জান্নাতের সুখের কথা ভুলে যায়। দুনিয়ার চাকচিক্য দেখে তারা শুধু দুনিয়াকেই প্রাধান্য দেয়, তাই তাদেরকে দুনিয়াদার বলা হয়।
এ জন্যই দুনিয়ার মোহ ও দুনিয়াদারির বিরুদ্ধে প্রিয়নবী (সা.) বলেছেন—‘অর্থের গোলাম ধ্বংস হোক, ধ্বংস হোক সম্পদের গোলাম, ধ্বংস হোক পোশাকের গোলাম...।’ (বুখারি)
দুনিয়াদারি ও ধন-সম্পদের মোহে পড়া ব্যক্তির পরণতি ভালো নয়। পরকালে এমন ব্যক্তি ঠিকানা হবে জাহান্নাম। এক হাদিসে হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন—
কিয়ামতের দিন আদম সন্তানকে ভেড়ার বাচ্চার মত অসহায় অবস্থায় আনা হবে। তাকে আল্লাহর সামনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হবে। আল্লাহ তায়ালা বলবেন—
তোমাকে তো জীবন স্বাস্থ্য ও সুখ দিয়েছিলাম। তোমাকে চাকর-বাকর, ধন-দৌলত দিয়েছিলাম। আরও অনেক নিয়ামত দিয়েছিলাম, কী আমল করে এসেছ তুমি?
সে বলবে : তা সব সঞ্চয় করেছি, তা বৃদ্ধি করেছি এবং যা ছিল তার চেয়েও অনেক বেশি রেখে এসেছি। আমাকে (দুনিয়ায়) ফিরত যেতে দিন সেই সব কিছুই আপনার কাছে নিয়ে আসছি।
আল্লাহ তায়ালা বলবেন : আগে কি নিয়ে এসেছ তা আমাকে দেখাও,। সে বলবে : হে রব, আমি তো সব সঞ্চয় করেছি, তা বাড়িয়েছি এবং যা ছিল তার চেয়েও অনেক বেশি রেখে এসেছি, আমাকে ফেরত যেতে দিন, সবকিছুই আপনার কাছে নিয়ে আসছি।
বান্দার অবস্থা যখন এই হবে যে সে কোন নেক আমল আগে পাঠায়নি তখন জাহান্নামেই তাকে নিয়ে যাওয়া হবে। (তিরমিজি, হাদিস : ২৪২৭)
ডেস্ক/ই.ই
মন্তব্য করুন: