[email protected] ঢাকা | রবিবার, ১৩ই জুলাই ২০২৫, ২৯শে আষাঢ় ১৪৩২
thecitybank.com

মানুষের রিজিক নিয়ে কোরআনে যা বলেছেন আল্লাহ তায়ালা

চাপাই জার্নাল ডেস্ক:

প্রকাশিত:
৮ জুলাই ২০২৫, ১৯:০৬

ছবি: সংগ্রহীত

রিজিকের আভিধানিক অর্থ এমন বস্তু যা কোন প্রাণী আহার্যরূপে গ্রহণ করে, যার দ্বারা সে দৈহিক শক্তি সঞ্চয়, প্রবৃদ্ধি সাধন এবং জীবন রক্ষা করে থাকে।


আল্লাহ তায়ালাই রিজিকদাতা। সৃষ্টি করার সাথে সাথে একান্ত নিজ অনুগ্রহে রিজিকের দায়িত্বও তিনি নিজ দায়িত্বে রেখেছেন। কাজেই যার জন্য যে পরিমাণ রিজিক বরাদ্দ আছে সে তা পাবেই। সুতরাং এ ব্যাপারে তাঁরই উপর ভরসা রাখতে হবে। একে তাওয়াক্কুল বলে।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন,

আর যমীনে বিচরণকারী প্রতিটি প্রাণীর রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহরই এবং তিনি জানেন তাদের আবাসস্থল ও সমাধিস্থল। সব কিছু আছে স্পষ্ট কিতাবে। (সূরা হুদ,
আয়াত : ০৬)

অর্থাৎ, আল্লাহ তায়ালা মানুষের রুজির যিম্মাদার ও দায়িতত্ত্বশীল। ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী সকল সৃষ্টিজীব, মানুষ হোক বা জীন, পশু হোক বা পক্ষীকুল, ছোট হোক বা বড়, জলচর হোক বা স্থলচর; মোটকথা, তিনি সমুদয় প্রাণীকে তার প্রয়োজন মত রুজি দান করেন।


রুজির জন্য আল্লাহর ওপর ভরসা রাখতে হবে। একইসঙ্গে উপায়ও অবলম্বন করতে হবে। তাওয়াক্কুলের পাশাপাশি উপায় অবলম্বন করা তাওয়াক্কুলের পরিপন্থী নয়। বরং বান্দার উপায় অবলম্বনকে আল্লাহ তায়ালার তার জন্য বরাদ্দকৃত রিজিক পৌঁছানোর দুয়ার ও মাধ্যম বানিয়েছেন।

তাওয়াক্কুল যেমন আল্লাহর হুকুম, তেমনি কোন উপায় অবলম্বন করাও তার হুকুম। তাই কোন উপায় অবলম্বন না করলে তাতে তার আদেশ অমান্য করা হয়। এ কারণে রিজিকের সংকট দেখা দিলে তা তার আদেশ অমান্য করারই পরিণাম।

উপায়-এর নিজস্ব কোন ক্ষমতা নেই যে, তা অবলম্বন করলে রিজিক প্রাপ্তি অবশ্যম্ভাবী হবে আর না করলে অপ্রাপ্তি অনিবার্য হবে। এজন্যই কখনও কখনও উপায় নিষ্ফল হয় এবং কখনও উপায় ছাড়াই ফল পাওয়া যায়।

মূল দাতা যেহেতু আল্লাহ তায়ালা, তাই তিনি চাইলে উপায়কে ফলপ্রসূ করতে পারেন, চাইলে নিষ্ফল করে দিতে পারেন এবং বিনা উপায়েও রিজিক দিতে পারেন।

তবে পৃথিবীতে উপায়ের সাথে রিজিক দানই আল্লাহ তায়ালার সাধারণ নিয়ম, যে কারণে একদিকে যেমন উপায় অবলম্বন করতে হবে, অন্যদিকে তাওয়াক্কুলও করতে হবে অর্থাৎ মূলদাতা তিনিই এই বিশ্বাসের সাথে তারই উপর নির্ভর করতে হবে।


ডেস্ক/ই.ই

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর