[email protected] ঢাকা | শুক্রবার, ১৪ই মার্চ ২০২৫, ৩০শে ফাল্গুন ১৪৩১
thecitybank.com

শবে বরাতেও ক্ষমা পাবে না যারা

চাঁপাই জার্নাল ডেস্ক:

প্রকাশিত:
১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৯:৪৯

প্রতীকী ছবি

শবে বরাত ক্ষমার রাত। এ রাতে আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে ক্ষমা করেন। গুনাহ মাফ করেন। তবে এ রাতেও আল্লাহ তায়ালা এ রাতেও দুই শ্রেণীর মানুষকে ক্ষমা করেন না। তারা হলেন অন্তরে হিংসা-বিদ্বেষ পোষণকারী ও মুশরিক ব্যক্তি।

মুয়াজ বিন জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শাবানের রাতে অর্থাৎ শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে তাঁর সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (সহিহ ইবনে হিব্বান: ৫৬৬৫)

হিংসা বিদ্বেষ লালন একটি মন্দ স্বভাব। যার ফলে আমাদের অনেক নেক আমল; ভালো কাজ, নেকি ও পুণ্য নষ্ট হয়ে যায়। হিংসা বা অহংকার মানুষের পতন ঘটায়।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

হিংসা থেকে সাবধান! কেননা হিংসা নেকীকে এমনভাবে ধ্বংস করে; যেমন আগুন লাকড়ি ধ্বংস করে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯০৩)

সাহাবি হজরত যুবাইর ইবনুল আওয়াম রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের পূর্বেকার উম্মতের একটি রোগ তোমাদের মধ্যেও সংক্রমিত হয়েছে। তা হলো, পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ ও ঘৃণা। আর এ রোগ মুণ্ডন করে দেয়। আমি বলছি না যে, চুল মুণ্ডন করে দেয়। বরং, এটা দীনকে মুণ্ডন (ধ্বংস) করে দেয়। 
 
ঐ মহান সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার জীবন! তোমরা ঈমানদার না হওয়া পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করবে না। তোমরা যদি একে অপরকে না ভালোবাসো, তবে ঈমানদার হতে পারবে না। আমি কি তোমাদেরকে বলবো না যে, পারস্পরিক ভালোবাসা কোন্ কাজের মাধ্যমে মজবুত হয়? তোমরা পরস্পর সালামের বিস্তার ঘটাও। (সুনানে তিরমিজি : ২৫১০)

ডেস্ক/আআ


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর