[email protected] ঢাকা | শুক্রবার, ১৪ই মার্চ ২০২৫, ৩০শে ফাল্গুন ১৪৩১
thecitybank.com

আয়নাঘরের বিভীষিকা যেন আর ফিরে না আসে: শায়খ আহমাদুল্লাহ

চাঁপাই জার্নাল ডেস্ক:

প্রকাশিত:
১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৩:৫৪

শায়খ আহমাদুল্লাহ। ছবি: সংগ্রহীত

আয়নাঘরের বিভীষিকাময় দিনগুলো যেন এই দেশে আর ফিরে না আসে সেই আশা ব্যক্ত করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন প্রখ্যাত ইসলামি আলোচক ও সমাজ সেবক শায়খ আহমাদুল্লাহ। 

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, আয়নাঘরের সে বীভৎস দিনগুলো আর কখনো ফিরে না আসুক এদেশে।

এর আগেও আয়নাঘর নিয়ে নিজের উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন এই স্কলার। এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেছিলেন, গুয়ানতানামো বে কিংবা আবু গারিব কারাগারের নাম শুনলেই আমাদের গা শিউরে ওঠে। চোখের সামনে ভেসে ওঠে লোমহর্ষক নির্যাতনের মর্মান্তিক সব দৃশ্য। অথচ আমরা এখন আয়নাঘরের যে বীভৎসতার খবর জানছি, তা যেন গুয়ানতানামো বে, আবু গারিব কারাগারকেও হার মানায়।

গতকাল বুধবার শায়খ আহমাদুল্লাহর সে কথার প্রমাণ মিলেছে। রাজধানীর কচুক্ষেত, আগারগাঁও এবং উত্তরা এলাকার তিনটি আয়নাঘর পরিদর্শন করেন ড. ইউনূস। যেগুলো স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় টর্চার সেল এবং গোপন বন্দিশালা হিসেবে ব্যবহার হতো। পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টাসহ উপস্থিত প্রতিনিধিরা সেখানে ইলেকট্রিক চেয়ারসহ নির্যাতনের জন্য ব্যবহৃত উপকরণ দেখতে পান।

এসময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ও ভুক্তভোগীরা। ভুক্তভোগীরা তাদের নির্যাতনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।

আয়নাঘর পরিদর্শনশেষে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এরকম টর্চার সেল সারা বাংলাদেশজুড়ে আছে। আমার ধারণা ছিল, শুধু এখানে আয়নাঘর বলতে কয়েকটা আছে। এখন শুনতেছি, আয়নাঘরের বিভিন্ন ভার্সন সারা দেশজুড়ে আছে। কেউ বলে ৭০০, কেউ বলে ৮০০। সে সংখ্যাটা এখনো নিরূপণ করা যায়নি, কতটা জানা আছে, কতটা অজানা আছে। 

তিনি বলেন, আইয়ামে জাহেলিয়াত নামে একটা কথা আছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আইয়ামে জাহেলিয়াত প্রতিষ্ঠিত করে গেছে সর্বক্ষেত্রে। আয়নাঘর তার একটা নমুনা মাত্র।

ডেস্ক/আআ


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর