প্রকাশিত:
১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৩:১৯
তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে যোগ দিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আসছেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী। এই মাহফিলকে ঘিরে ইতিমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাজুড়ে তার ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে।মাহফিলে কমপক্ষে ১০/১২ লাখ মানুষের সমাগম হতে পারে বলে ধারণা আয়োজকদের।
তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে যোগ দিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আসছেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ও গবেষক ড. মিজানুর রহমান আজহারী। এই মাহফিলকে ঘিরে ইতিমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জুড়ে তার ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে। এই মাহফিলে কমপক্ষে ১০/১২ লাখ মানুষের সমাগম হতে পারে বলে ধারণা আয়োজকদের।
আগামী শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌঁছে যোহর নামাজ শেষে বয়ান পেশ করার কথা রয়েছে মিজানুর রহমান আজহারীর।
আয়োজকরা জানান, জাবালুন নূর ফাউন্ডেশন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এই ঐতিহাসিক মাহফিলের আয়োজন করছে। এ মাহফিলে সভাপতিত্ব করবেন জাবালুন নুর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবু জার গিফারী এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রিয় নির্বিাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল। এছাড়া বিশেষ মুফাসির হিসেবে থাকবেন চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন তালুকদার ও বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীন এর সেক্রেটারি জেনারেল হযরত মাওলানা মো: নুরুল আমিন।
আয়োজকরা আরোও জানান, জনসমাগম বিবেচনা করে দর্শকদের জন্য ৮টি মাঠ প্রস্তুত করছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলার প্রাণকেন্দ্র মহারাজপুর ইউনিয়নের ঘোড়াস্ট্যান্ডের পাশের আম বাগানে মাঠে করা হচ্ছে মূল মঞ্চ। এই মূল মাঠ ছাড়াও আশেপাশে পুরুষদের জন্য ৩টি ও মহিলাদের জন্য ৪টি আলাদা আলাদা প্রস্তত করা হচ্ছে। সকল মাঠে থাকবে প্রজেক্টরের ব্যবস্থা।
এছাড়া ঐতিহাসিক এ মাহফিল সফল করতে ইতোমধ্যে মঞ্চ প্রস্তুতের কাজ প্রায় ৭৫ শতাংশ শেষ করেছেন আয়োজকরা এবং সকল ধরনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে। আয়োজক কমিটির সঙ্গে জেলা প্রশাসনের বৈঠকও সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে জননিরাপত্তার বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিগত দিনের মাহফিলে ঘটে যাওয়া চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সকল ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে যাবে মাহফিল ও তার আশপাশের এলাকা।
আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য হাফেজ গোলাম রাব্বানী বলেন, মূল প্যান্ডেলের প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। বাকি কাজও ২/৩ দিনের মধ্যে সমাপ্ত হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। সুতরাং বিগত মাহফিলে ঘটে যাওয়া চুরি-ছিনতাই এখানে ঘটবে না বলে আমরা আশা রাখি। এরপরও সেদিক বিবেচনা করে আমরা কাজ করছি। মাঠের প্রবেশপথেই তল্লাশি চালানো হবে। তবে দামি স্বর্ণালংকার পরিধান না করতে নারীদের আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত টয়লেট, পানির ব্যাবস্থা, খাবার হোটেল, প্রকাশনা স্টল ও পরিবহন রাখার জন্য প্রায় ১৬ টি গ্যারেজের সুব্যাবস্থা করা হয়েছে।
মাহফিলের সভাপতি মাওলানা আবু জার গিফারী বলেন, মাহফিল সফল করতে সকল ধরনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা রাখা হয়েছে মাহফিলের মাঠগুলোতে। পুরো শহরে সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে বক্তা ও অতিথিগণের বক্তব্য শুনতে পারবে মানুষ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার মো: রেজাউল করিম বলেন, ড. মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিলে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ বাহিনি। যানযট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ কাজ করবে এবং জননিরাপত্তায় পুলিশের সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রায় ৬৫০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশের বাইরে নির্বাসিত ছিলেন বিশ্ববরেণ্য মুফাসসির ড. মিজানুর রহমান আজহারী। গত ৫ আগস্ট দেশ থেকে শেখ হাসিনা সরকার পালিয়ে গেলে দেশে ফিরে আসেন মিজানুর রহমান আজহারী। এরপর দেশের মানুষের আগ্রহে বিভিন্ন স্থানে মাহফিল শুরু করেন তিনি, যার ধারাবাহিকতায় আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাহফিল করবেন মিজানুর রহমান আজহারী।
এমএএ/আআ
মন্তব্য করুন: