[email protected] ঢাকা | শনিবার, ১৫ই মার্চ ২০২৫, ১লা চৈত্র ১৪৩১
thecitybank.com

প্রিয়নবী সা. যেভাবে তাসবিহ পাঠ করতেন

চাঁপাই জার্নাল ডেস্ক:

প্রকাশিত:
২০ নভেম্বার ২০২৪, ০৯:৪৮

প্রতীকী ছবি

ফরজের পাশাপাশি বিভিন্ন নফল ইবাদত পালনের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করেন মুমিনরা। নফল ইবাদতের মধ্যে নামাজ, জিকির-আজকার ও বিভিন্ন তাসবিহ রয়েছে।

যেমন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাজের পর সুবহানাল্লাহ (৩৩ বার), আলহাদুলিল্লাহ (৩৩ বার), আল্লাহু আকবার (৩৩ বার), (লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু; লাহুল মুলকু; ওয়ালাহুল হামদু; ওয়াহুওয়া আলা- কুল্লি শাইয়িন ক্বাদির) (১ বার)- এমন বিভিন্ন তাসবিহ পড়তেন। 

এই তাসবিহগুলো পাঠের মাধ্যমে সমুদ্রের ফেনারাশির মতো পাপ থাকলেও আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন বলে হাদিসে উল্লেখ করেছেন। (মুসলিম, হাদিস : ১২৪০)

আবু হুরায়রা রা. বলেন, দরিদ্র লোকেরা নবী করিম সা.-এর কাছে এসে বলল, সম্পদশালী ও ধনী ব্যক্তিরা তাঁদের সম্পদের দ্বারা উচ্চ মর্যাদা ও চিরস্থায়ী নিয়ামত নিয়ে আমাদের থেকে এগিয়ে গেলেন। তাঁরা আমাদের মতো সালাত আদায় করছেন, আমাদের মতো সিয়াম পালন করছেন এবং তাঁরা তাঁদের অর্থ-সম্পদের মাধ্যমে হজ, ওমরাহ, জিহাদ ও সদকা করার মর্যাদাও লাভ করছেন। 

এ কথা শুনে রাসূল সা. বলেন, ‘আমি কি তোমাদের এমন কিছু কাজের কথা বলব, যা তোমরা করলে, যারা নেক কাজে তোমাদের চেয়ে অগ্রগামী হয়ে গেছে, তাদের পর্যায়ে পৌঁছতে পারবে। কেউ তোমাদের সমপর্যায়ে উপনীত হতে পারবে না।

আর লোকদের মধ্যে তোমরাই হবে উত্তম আমলকারী, তবে যে ব্যক্তি এ ধরনের আমল করবে তার কথা ভিন্ন। তোমরা প্রত্যেক সালাতের পর ৩৩ বার করে তাসবিহ (সুবহানাল্লাহ), তাহমিদ (আলহামদু লিল্লাহ) এবং তাকবির (আল্লাহু আকবার) পাঠ করবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৮৪৩)

এই তাসবিহগুলো রাসূল সা. কীভাবে পাঠ করতেন। তার বর্ণনা পাওয়া যায় হাদিস থেকে। এক হাদিসে আব্দুল্লাহ ইবন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, ‘আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি আঙুল ভাঁজ করে তাসবীহ গুনতে’। অপর বর্ণনায় এসেছে, ‘তাঁর ডান হাতে।’ (আবূ দউদ,হাদিস : ১৫০২)।

আআ


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর