প্রকাশিত:
৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২২:৫০
ফেলানীসহ সীমান্তে ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় ও ফারাক্কার নায্য পানির হিস্যার দাবিতে লংমার্চ ও সামাজিক জেয়াফত অনুষ্ঠিত হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। এই জেয়াফতের অংশ হিসেবে রবিবার (০৯ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে দুইটার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার পাইলিং মোড়ের চৌধুরীর আম বাগানে একটি গরু জবাই করা হয়েছে। এই লাল রংয়ের গরুর নাম মোদীলাল।
সরেজমিন শিবগঞ্জ উপজেলার সরকারি মডেল হাই স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই একটি গরু জবাই করে জেয়াফতের কার্যক্রম চলছে। অন্যদিকে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে লংমার্চ বের হয়। লংমার্চটি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ মডেল সরকারি হাই স্কুলে এসে পৌঁছায়। এর পরে বেলা ১ টার দিকে মডেল হাইস্কুল মাঠ থেকে একটি লাল রংঙের গরু নিয়ে লং মার্চ শুরু হয়। লংমাচটি শিবগঞ্জ থানা ও শিবগঞ্জ উপজেলার সামনে দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করে পাইলিং মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে ফেলানীসহ সীমান্তে ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় ও ফারাক্কার নায্য পানির হিস্যার দাবিতে সেখানে একটি লাল রংয়ের গরু জবাই করা হয়।
জেয়াফতে অংশহণ করতে আসা বিনোদপুর ইউনিয়নের কালিগঞ্জ সীমান্তের বাসিন্দা আব্দুল মজিদ বলেন, ৫,৬ ও ১৮ জানুয়ারি কালিগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় ভারতীয়রা আগ্রাসন চালিয়েছিল। এই আগ্রাসন বিরোধী কার্যক্রম স্থানীয়রা প্রতিহত করেছিল। আর যারা এই ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিহত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদের জন্য এখানে একটি প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছে। সেজন্য আমরা এখানে এসেছি এবং আমাদের এই প্রোগ্রামে এসে ভালো লাগছে কারণ আমাদেরকে উৎসাহিত এবং উজ্জীবিত করার জন্য এ প্রোগ্রামটি আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশের জনগণ সংগঠনের প্রতিনিধি ওয়ারেছুল ইসলাম নাসির বলেন, ফারাক্কার নায্য পানির হিস্যা এবং ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধে সীমান্তের নাগরিকদের সচেতন, সজাগ ও উদ্বুদ্ধ করতেই এই লংমার্চের আয়োজন করা হয়েছে। সীমান্তের সকল নাগরিকদের সচেতন করা হচ্ছে। আমরা পুরো দেশের নাগরিকরা সীমান্তবাসীর সাথে রয়েছি।
আমজনতা পার্টির সদস্য সচিব তারেক রহমান বলেন, বগুড়াতে হিন্দু রাজার নিপড়নের বিরুদ্ধে গরু জবাই করেছিল। আর এই জিয়াফতটা অনেক আগে থেকে প্রচলিত ছিল। ভারত তার গরু রাজনীতির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও মুসলমানকে নিপীড়িত করে। তার প্রতিবাদেই আমাদের এই জিয়াফত কার্যক্রম। আমাদের কার্যক্রম হিসেবে গরু জবাই হবে, আলোচনা হবে এবং নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলা হবে। এছাড়া সীমান্তে যারা নিহত হয়েছিল তাদের নামে আজকে সন্ধ্যার দিকে ফানুস উড়াব। শহীদদের সম্মানে তার নাম লেখা ফানুস আকাশে উড়িয়ে দেব।
এই সময় আরোও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের জনগণ সংগঠনের মুখপাত্র আবু মোস্তাফিজ, আমজনতার নেতা মাসুদ জাকারিয়া, শহিদুল হক মিন্টু, তারেক রহমান, কর্ণেল অবসরপ্রাপ্ত মিয়া মশিউজ্জামান, হেফাজতের রাজশাহী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ইমরান উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক নাইমুল হাসান ও হেফাজতের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখা সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মোহাম্মদ ইসহাক প্রমুখ।
এমএএ/আআ
মন্তব্য করুন: