প্রকাশিত:
২৩ আগষ্ট ২০২৫, ১৪:৩৮
বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো দুর্ভোগ কমেনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের পানিবন্দি মানুষদের। নদীর পানি বৃদ্ধির করনে নিম্নাঞ্চলের এখন সাড়ে ১৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি জীবনযাপন করছেন। আর পানিবন্দি জীবন যাপনের কারনে দূষিত পানি পান ও বন্যার পানিতে চলাফেরা করার কারণে পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বন্যাদুর্গত এলাকার বাসিন্দারা।
চর্মরোগ, পেটের পীড়া, জ্বর ও ডায়রিয়ায় রোগে ভুগছেন তারা কিন্ত প্রত্যাশিত চিকিৎসা না পাওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে বেশিরভাগ পানিবন্দি মানুষ। বন্যাদুর্গত এলাকায় চিকিৎসা সেবা দিতে বিশেষ মেডিকেল টিম দাবি করছেন তারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাবস্থা চলছে।
জানা গেছে, প্রায় ২৫ দিন ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। উজানের ঢল আর ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে এবং এতে করে ওইসব এলাকার মানুষের ঘর-বাড়ি পানিতে নিমজ্জিত অবস্থায় রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পানিবন্দি মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানির অভাবে ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েড, আমাশয়, চুলকানি ঘা এবং হেপাটাইটিস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। পর্যাপ্ত চিকিৎসা না পেলে এ রোগগুলো মহামারির আকার ধারণ করতে পারে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের নারায়ণপুর ইউনিয়নের আফসার উদ্দিন জানান, আমাদের ইউনিয়নটির প্রায় অংশই পানিবন্দি। এমন দুর্যোগ-দুর্ভোগের মাঝেও এবারে কোন চিকিৎসাসেবা পেলাম না। এখন তো প্রায় প্রত্যেক ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত মানুষও কম নেই। এরপরেও চিকিৎসা দেয়ার জন্য কেউ এলেন না।
শিবগঞ্জের পাঁকা ইউনিয়নের বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম বলেন,পানিবন্দি মানুষের বিশুদ্ধ পানির খুবই অভাব। এছাড়া ১০ দিনের বেশি সময় ধরে বাড়ির ভেতরসহ চারপাশে পানি থাকায় বিভিন্ন রোগের সম্মুখীন হচ্ছেন মানুষজন। চুলকানি থেকে শুরু করে পাতলা পায়খানাও হচ্ছে অনেকের। খাবারের পাশাপাশি এখন পানিবন্দি মানুষের বেশি প্রয়োজন চিকিৎসাসেবা। কিন্তু আমরা চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ একেএম শাহাব উদ্দীন বলেন, পাঁকা ও উজিরপুর ইউনিয়নের ৫টি গ্রামে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেয়া হয়েছে। পানিবন্দি মানুষদের চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রয়েছে।
এমএএ/আআ
মন্তব্য করুন: