[email protected] ঢাকা | শনিবার, ১৫ই মার্চ ২০২৫, ৩০শে ফাল্গুন ১৪৩১
thecitybank.com

চাঁপাইনবাবগঞ্জে অটোচালককে বাংলা মদ খাইয়ে, শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা

নিজস্ব প্রতিনিধি:

প্রকাশিত:
১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২০:৩৬

ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক শ্রী পলাশ হালদার (১৮) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে মূলহোতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে সদর মডেল থানা ও ডিবি পুলিশের যৌথ টিম।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে প্রেস বিফ্রিং এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চাপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার মো: রেজাউল করিম।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত রাজশাহী জেলার তানোর থানার কলমা এলাকার মো: একরামুল হকের ছেলে মো: রকি (৩২) ও একই জেলার মতিহার থানার কাজলা এলকার মো: রফিকুল ইসলামের ছেলে মো: জনি (২৪)। এছাড়া অপর দুইজন হলেন, তানোর থানার হাতিশাহিলপাড়া এলাকার মৃত ফয়জুদ্দিন মন্ডলের ছেলে মো: জুয়েল (৪০) এবং নওগাঁ জেলার মান্দা থানার চৌবাড়িয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল রশিদের ছেলে মো: সানোয়ার হোসেন (২৪)।

পুলিশের প্রেস বিফ্রিং থেকে জানা যায়, শ্রী পলাশ হালদার নামে একজন অটোরিক্সা চালক গত ১২ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হয় এবং তার পরিবার স্বজনদের বাসায় খোঁজ শুরু করেন। পরে তাকে না পেয়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি সদর মডেল থানায় তার পরিবার একটি জিডি করেন। পরবর্তীতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আমনুরা নয়ানগর সরকারি সার গোডায়নের দক্ষিন পাশে সরিষা ক্ষেতে পলাশের লাশ পাওয়া যায়। পরে ময়নাতদন্ত ও আইনী কার্যক্রম শেষে সদর মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা রুজু করা হয়। মামলা রুজুর ২৪ ঘন্টার মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মহারাজপুর এলাকা থেকে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত জনি ও রকি নামে দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে পুলিশ জানতে পারে তারা অটোরিক্সাকে বিভিন্ন অংশে বিভক্ত করে ৩৯ হাজার টাকায় রাজশাহীর তানোর ও নওগাঁর নিয়ামতপুর এলাকার জুয়েল ও সানোয়ারের কাছে বিক্রি করে এবং তারা দুইজন (জনি ও রকি) মিলে টাকা ভাগ করে নেয়। তাদের দেওয়া তথ্যমতে চোরই মালামাল ক্রয়ের অপরাধে জুয়েল ও সানোয়ারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং তানোরের নিরব ইন্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ ও মান্দা থানার এনএস ট্রের্ডাস নামক ভাঙ্গারি দোকান থেকে সেই অটোরিক্সার খন্ডিত অংশ বিশেষও উদ্ধারপূর্বক জব্দ করে পুলিশ।

পুলিশের প্রেস ব্রিফ্রিং থেকে আরোও জানা যায়, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত জনির সাথে পলাশের পূর্ব পরিচিত ছিল। পরে জনি ও রকি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে পলাশকে ট্যাগেট করে এবং তাকে বাংলামদ খাওয়ায়ে নেশাগ্রস্থ করে। পরে তাকে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে ও অটোরিক্সা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মো: রেজাউল করিম বলেন, অটোরিকশা চালক শ্রী পলাশ হালদার হত্যাকান্ডে ৪জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে মো: জনি ও মো: রকি হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত ছিলেন এবং সানোয়ার ও জুয়েল অটোরিক্সার মালামাল কিনেছিলেন। তাদের দুইজনকে চোরাইকৃত মালামাল কেনার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া অটোরিক্সার খন্ডিত অংশসহ হত্যাকান্ডে ব্যাবহৃত আলামতসমূহ জব্দ করা হয়েছে এবং বিক্রিত টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।

এমএএ/আআ


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর