প্রকাশিত:
৭ অক্টোবার ২০২৪, ১৮:৪১
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপি কর্মী মতিউর রহমান এম হত্যা মামলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম রাব্বানীসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (০৭ অক্টোবর) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল আদালতের শিবগঞ্জ আমলি আদালতের বিচারক তহিদুল জামান এই আদেশ দেন।
এ হত্যার ঘটনায় আজ ০৭ অক্টোবর শিবগঞ্জ আমলি আদালতে মামলা করেন মতিউর রহমান এম এর ভাই মো: জেম আলী (৩৬)। তার বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট ইউনিয়নের বাজিতপুর এনায়েত বিশ্বাস পাড়ায়।
মামলায় ২৭ জন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো: গোলাম রাব্বানী বিশ্বাস (৬৬), কানসাট ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও কানসাট ইউনিয়ন পরিষদ আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনাউল ইসলাম (৫৫), মো: ইমতিয়াজ আহমেদ শিশির (৩৮), মো: শহীদ কায়সার (৩৮), মো: সাদ্দাম (৩৫), মো: বিপ্লব (৩৫), মো: হাফিজুর রহমান (৩৬), মো: রেজানুয়ার হক রেজু (৩৭), মো: আতাউর (৫০), গোপাল (৩৫), নুরুল ইসলমা নুরু মৌলভী (৫৫), মো: হযরত (৫৫), মো: পলাশ (৪০), মো: জেনারুল (৪৪), মো: আব্দুল বাসির (৪০), সাইফুল (৪০), মো: রফিকুল ইসলাম (৪৫), আশরাফুল মাষ্টার (৪৪), রবিউল ইসলাম রবি (৪৬), আব্দুর রশিদ (৫০), মো: আবুল কাসেম (৪৫), শিমুল আলী (৩৫), মো: মানিক (৩৮), শহিদুল ইসলাম রনি (৩৮), আব্দুল রাজ্জাক (৪০), তৎকালীন চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব-৫ কোম্পানী কমান্ডার মেজর কামরুজ্জামান পাভেল এবং র্যাব-৫ এর এসআই মো: বিসারত আলী। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও ১৮ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার নথি ও আদালত সূত্রে জানা যায়, বিএনপির কর্মী হওয়ার কারণে ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি মতিউর রহমান এম তার খালুর বাড়িতে দুপুরর খাবার খেতে আসেন। পরে মতিউর রহমানসহ আরোও ৪/৫ জনকে চোখ ও মুখ ঢেকে র্যাবের গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে চলে যায়। পরে মতিউরের মামাকে জানানো হয় তার লাশ শিবগঞ্জ থানায় আছে। এছাড়া শিবগঞ্জ থানায় গিয়ে দেখতে পান তার বাম বাহু ভাঙ্গা এবং বুকে ৮ থেকে ৯টি ছিদ্র আছে। পরে মরদেহ গুলিবিদ্ধ মরদেহ ফেরত দেওয়া হয় পরিবারের কাছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী গোলম কবির বলেন, এই হত্যাকাণ্ডটি সেই সময়ে একটি চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। মামলাটি পিবিআই তদন্ত করলে এর আসল রহস্য উদ্ঘাটন হবে। তাই আজকে যে আদেশটি আদালত দিয়েছেন, তাতে আমরা সন্তুষ্ট এবং আমরা আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছি।
এমএএ/আআ
মন্তব্য করুন: