চাঁপাই জার্নাল ডেস্কঃ চতুর্থ দফার অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে হেরে গিয়ে ২০০ পরিবারের চলাচলের একমাত্র বাঁশের সাঁকো ভেঙে দিয়েছেন মেম্বার (ইউপি সদস্য) প্রার্থী কামরুজ্জামান মোল্লা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরের এই পরাজিত প্রার্থী নিজে এমন কাণ্ড ঘটান। তিনি এই কাণ্ড ঘটান চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের রাধাসার গ্রামের মৃধাবাড়ি সংলগ্ন এলাকায়।
তবে অভিযুক্ত কামরুজ্জামান মোল্লা দাবি করেছেন বাঁশের সাঁকোটি তার নিজের জমির ওপর। তিনি কাজ করার জন্য সাঁকোটি সরিয়ে দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৬ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কামরুজ্জামান মোল্লার উপজেলার বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৪নং ওয়ার্ডের 'মোরগ' প্রতীকের ইউপি সদস্য প্রার্থী ছিলেন। তিনি ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য রবিউল আলমের কাছে হেরে যান।
স্থানীয়রা জানান, কামরুজ্জামান মোল্লা ভোটে হেরে মৃধা বাড়ির ভোটারদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে হাত দা নিয়ে চার বাড়ির চলাচলের একমাত্র পথ বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে দেন।
এই বিষয়ে মৃধা বাড়ির আনোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, শাহাদাত হোসেন, সফিকুল ইসলাম ও হাবিবুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন জানান, প্রতি বছর বর্ষা শেষে তারা বাড়ির লোকজন চলাচলসহ রাধাসার ছয়ছিলা কৃষি মাঠে যাওয়া আসার জন্য বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করেন। এই সাঁকোটি দিয়ে চার বাড়ির প্রায় দুই শ পরিবারসহ পাশের বাখরপাড়া গ্রামের লোকজন চলাচল করেন।
এ সময় তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, ভোট না দেওয়ার অভিযোগ এনে এদিন (মঙ্গলবার) সকালে কামরুজ্জামান মোল্লা বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে দেন। যার ফলে রাধাসার গ্রামের তফাদার বাড়ি, মৃধা বাড়ি, মোল্লা বাড়ি ও পাটওয়ারী বাড়িসহ ২০০ পরিবারের চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যায়।
সাঁকোটি ভাঙার বিষয়টি স্বীকার করে কামরুজ্জামান মোল্লা জানান, নির্বাচনে হেরে নয়, আমাদের সম্পত্তির ওপর দিয়ে বাঁশের সাঁকোটি করা হয়েছে। তাই ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে আমাদের সম্পত্তির ওপর বাঁশের সাঁকোটি স্থাপন করার কারণে আমি কিছু বলতে পারিনি। এখন নির্বাচন শেষ হয়েছে। তাই এখন আমাদের প্রয়োজনে সাঁকোটি আমি ভেঙে দিয়েছি।
বাকিলা ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান ইউসুফ পাটওয়ারীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ওই বাড়ির লোকজন সাঁকো ভাঙার বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন: