প্রকাশিত:
৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২২:৩৮
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিভিন্ন আবাসিক হল ও মসজিদে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় ফেরদৌস রহমান ফরিদ (২২) নামে এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃত ফেরদৌস রহমান ফরিদ ময়মনসিংহ জেলার ভালুকার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের মজিবর রহমানের ছেলে। তিনি রাবির ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্র। ঘটনার পর থেকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে পালিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, যশোর, ঢাকা ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিলেন। গতকাল সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ময়মনসিংহ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সাইবার ক্রাইম ইউনিট। তাকে মতিহার থানার করা মামলায় বিকেলে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ১২ জানুয়ারি রাবির শহীদ আমির আলী হলের মুক্তমঞ্চ, শহীদ জিয়াউর রহমান হল, শহীদ হবিবুর রহমান হল, মাদার বখশ হল, মতিহার হল, সোহরাওয়ার্দী হল, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক হলের মসজিদের মেঝেতে ও শেলফে পবিত্র কোরআন পোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। কোরআনের এমন অবমাননার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মপ্রাণ শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মতিহার থানায় মামলা করেন।
মামলার পর পুলিশের পাশাপাশি আরএমপি সিটিটিসি এবং সাইবার ক্রাইম ইউনিট মামলাটির তদন্ত শুরু করে। তদন্তের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও অন্যান্য স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।
এরপর আরএমপি সিটিটিসি বিভাগ ও সাইবার ক্রাইম ইউনিটের একটি সমন্বিত দল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সহায়তায় ফেরদৌস রহমানকে ময়মনসিংহের ভালুকা থানার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ফেরদৌস রহমান ফরিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল সমূহের মসজিদে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনার সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করেন। অভিযুক্ত ফরিদের বক্তব্যসহ অন্যান্য বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, সোমবার দিবাগত রাতে ময়মনসিংহ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
ডেস্ক/আআ
মন্তব্য করুন: