প্রকাশিত:
৭ ডিসেম্বার ২০২৫, ১৯:৫২
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে ইঙ্গিত করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, তাদের ভূমিকা দেশের মানুষ একাত্তর সালে দেখেছে। একাত্তরে তারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় কীভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে দলের ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এমনটা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, কিছু কিছু মানুষ বা কোনো কোনো গোষ্ঠীকে ইদানিং বলতে শোনা যায়, অমুককে দেখলাম-তমুককে দেখলাম, এবার অমুককে দেখুন। যাদের কথা বলে, তাদেরকে (জামায়াত) তো দেশের মানুষ একাত্তর সালে দেখেছে। একাত্তর সালে তারা তাদের নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে কীভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে, ঠিক যেভাবে পতিত স্বৈরাচার পালিয়ে যাওয়ার আগে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছিল ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য। এই যাদের কেউ কেউ বলে যে, একবার দেখুন না এদের। তাদের দেশের মানুষ একাত্তর সালেই দেখেছে।
তিনি বলেন, আমরা ইদানিং লক্ষ্য করছি কিছু কিছু ব্যক্তি বা দল এক সুরে গান গাইছে। প্রশ্ন হলো- তাদেরও তো দু’জন ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে সে সময় সরকারে ছিল। এই দু’জন ব্যক্তি পৃথিবীতে আর নেই। দু’জনেই সিনিয়র মানুষ, সিনিয়র রাজনীতিবিদ ছিলেন। যে মানুষ নেই তাদের সম্পর্কে অবশ্যই খারাপ কথা বলা উচিত নয়। তাদের প্রতি পরিপূর্ণ সম্মান রেখেই বলতে চাই- সেই দুইজন ব্যক্তি বিএনপির সরকারে শেষদিন পর্যন্ত থাকা দুটো জিনিস প্রমাণ করে দেয়। এক, তাদের অবশ্যই খালেদা জিয়ার ওপর পূর্ণ আস্থা ছিল যে তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন। সেজন্যই তারা শেষদিন পর্যন্ত ছিল। এখন তাদের দলের অন্য যে যত বড় কথাই বলুক না কেন।
কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের কিছু ব্যক্তি বা বেশকিছু ব্যক্তি নানা জিনিসের টিকিট বিক্রি করে বেড়াচ্ছেন। বিভিন্ন জিনিসের কনফারমেশন (নিশ্চয়তা) দিয়ে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু দোজখ, বেহেশত, দুনিয়া সবকিছুর মালিক আল্লাহ। যেটার মালিক আল্লাহ, যেটার কথা একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই বলতে পারেন, সেখানে যদি আমি কিছু বলতে চাই, আমার নরমাল দৃষ্টিকোণ থেকে আমি বুঝি যে- সেটি হচ্ছে শিরক। সেটি শিরকের পর্যায়ে পড়ে।
তিনি বলেন, বিএনপি বাংলাদেশকে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র বানাতে চায় না। আমরা চাই একটি স্বাবলম্বী বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশের ভেতরে মানুষের কর্মসংস্থানে ব্যবস্থা থাকবে, খেয়ে-পরে শান্তিতে বেঁচে থাকবে, যেখানে দুর্নীতির নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশে যদি কেউ দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে পারে, তাহলে একমাত্র বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির পক্ষেই সেটি সম্ভব। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, আমরা যতগুলো পরিকল্পনা নিয়েছি, এগুলো সফল করতে হলে আমাদের যোগ্য ব্যক্তিদের বিভিন্ন জায়গায় দায়িত্ব দিতে হবে। এতে দু’টি বড় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। যে দু’টি বিষয়কে আমাদের যেকোনো মূল্যে অ্যাড্রেস করতে হবে। এই দু’টি বিষয়কে যদি আমরা অ্যাড্রেস করতে না পারি আমাদের পুরো জাতি ও দেশ সংকটের মধ্যে পড়বে। এই দু’টি বিষয় হলো- যেকোনো মূল্যে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে এবং যেকোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির লাগাম টেনে ধরতে হবে।
ডেস্ক/ই.ই
মন্তব্য করুন: