জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজিএস) উদ্যোগে ‘গণমাধ্যম সংস্কার প্রতিবেদন পর্যালোচনা শীর্ষক সেমিনারে একথা বলেন তিনি।
বিজিএস’র উদ্যোগে সোমবার (২৪ নভেম্বর) দিনব্যাপী চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন্দ, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হলেও, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অতীতের কোনো সরকার নিশ্চিত করেনি। বরং সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করতে আইসিটি আইন নামে একটি কালো আইন তৈরি করা হয়েছে। সাংবাদিকদের মামলা–হামলা দিয়ে জুলুম-নির্যাতন করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মদদে সাংবাদিক সাগর-রুনিকে হত্যা করা হলেও, আজ পর্যন্ত সেই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিল করা হয়নি।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমকর্মী সাংবাদিকদের অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। সাংবাদিকদের জীবনমান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অবিচল থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলার সৎ সাহসিকতা বজায় রাখতে হবে।
ডেস্ক/ই.ই
মন্তব্য করুন: