আগামী নির্বাচনে আমরা কোনো চাঁদাবাজ মাফিয়াদের সঙ্গে জোট করবো না। যারা সংস্কারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে তাদের সঙ্গে কোনো জোট হবে না। কিন্তু যারা সংস্কারে পক্ষে তারা যদি আমাদের সঙ্গে জোট করতে চায় তাহলে আমাদের দরজা উন্মুক্ত- এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)র দক্ষিণ অঞ্চলের কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে রাঙামাটিতে অধ্যাপক কুমার সুমিত রায় জিমনেশিয়ামে তিন পার্বত্য জেলার এনসিপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেন, সামনে নির্বাচন, নির্বাচনের আগে গণভোটের অর্ডার হতে হবে। সেই অর্ডার ড. ইউনূছ বাস্তবায়ন করবে। চুপ্পুর হাত থেকে গণভোটের অর্ডার ও জুলাই সার্টিফিকেট নেয়া যাবে না। তার চেয়ে ভালো বিষ খেয়ে মরে যাওয়া। জুলাই সনদে ড. ইউনূসকেই স্বাক্ষর করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিগত নির্বাচনে প্রশাসন, পুলিশ ও মিডিয়াকে হাতিয়ার বানানে হয়েছে। জনগণকে সুষ্ঠু ভোট দেয়ার সুযোগ করে দেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যদি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ভোট না হয় তাহলে জাতি হিসেবে কেউ আমাদের ক্ষমা করবে না।
তিনি আরও বলেন, এনসিপি যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে সব রাজনৈতিক দলকে সেখানে আসতে হয়েছে। সংখ্যা দিয়ে পিচ্চি ও চিলড্রেন পার্টি বলে লাভ নাই। নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে আগামী ১০ বছর পর সরকার গঠন করবে এনসিপি।
এ সময় দক্ষিণ অঞ্চলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক জবাইরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এ দেশে আর আওয়ামী লীগের রাজনীতি চায় না। আমরা সংবিধান ও চুপ্পুকে অপসরণ চাইলাম তখন বড় দলগুলো আমাদের বিপরীতে দাঁড়িয়ে যায়। এই সরকার সংস্কার, আওয়ামী লীগের বিচার শেষ না হওয়ার আগেই নির্বাচন দিতে ব্যস্ত হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, পাহাড়ের প্রতিটি ঘরে ঘরে এনসিপির দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল কখনো শান্ত ছিলো না। এনসিপির নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তির রোল মডেল তৈরি করবে।
পার্বত্য অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক ইমন সৈয়দ বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ যেভাবে এনসিপিকে গ্রহণ করেছে তাতে পার্বত্য তিন আসন থেকে আমাদের প্রার্থী জয় লাভ করবে। পাহাড়ের যে সমস্যা তা ঢাকায় বসে সমাধান করা সম্ভব না। সমাধানের জন্য সমস্যা চিহ্নত করে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। যারা পাহাড়ে বসবাস করে তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তাদের দুঃখ কষ্টগুলো জানতে হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সংগঠক এএসএম সুজা উদ্দিন, পার্বত্য অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক ইমন সৈয়দ, দক্ষিণ অঞ্চলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক জবাইরুল ইসলাম, তিন পার্বত্য জেলায় বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মীরা।
ডেস্ক/ই.ই
মন্তব্য করুন: