প্রকাশিত:
৪ নভেম্বার ২০২৫, ১৭:২৯
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়ত-বাদী দল (বিএনপি)। গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঘোষণাকৃত তালিকা অনুযায়ী চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক শাহজাহান মিঞা।
এবারেও বরাবরের মতো শিবগঞ্জ থেকে মনোনয়ন পাওয়া অধ্যাপক শাহজাহান মিঞার রয়েছে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে জনপ্রতিনিধি ছিলেন। পাশাপাশি দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের রাজপথে বিরোধীদের মূল টার্গেট ছিলেন শাহজাহান মিঞা। তারপরও তিনি জীবনের মায়া ত্যাগ করে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত সকল কর্মসূচী বাস্তবায়ন করেছেন। তিনি শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন তা নয়, পুরো দেশের বিএনপির বিভিন্ন সভা-সমাবেশে যোগদান করেছেন।
রাজনৈতিক সূত্রে জানা যায়, অধ্যাপক শাহজাহান মিঞা বিএনপির রাজনীতিতে প্রাণপুরুষ এ বর্ষিয়ান এ রাজনীতিবীদকে শিবগঞ্জবাসী অত্যন্ত ভালোবাসেন। তাই এখানের জনগনের চাওয়া ছিল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অধ্যাপক শাহজাহান মিঞা যেন বিএনপির প্রার্থী হন। গতকালের মনোনয়ন ঘোষণার মধ্য দিয়ে জনগনের আশা-আকাঙ্খার পূর্ণ হয়েছে।
মনোনয়ন ঘোষিত হওয়ার পর অধ্যাপক শাহজাহান মিঞা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পোস্টে লেখেন, আলহামদুলিল্লাহ। মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহর অশেষ রহমতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন জনাব তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি'র মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নমিনেশন ডিক্লেয়ার করেছেন। শিবগঞ্জবাসীর কাছে আমি দোয়া চাচ্ছি, নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করার জন্য আহবান জানাচ্ছি। আমি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
তিনি আরো লেখেন, একই সাথে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের নমিনেশন বা আসন ঘোষণা কে কেন্দ্র করে বা রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয় এমন পোস্ট, অতিউৎসাহী কাজ (মিছিল,আতশবাজি, শোডাউন, রং খেলা, মিষ্টি বিতরণ ইত্যাদি) থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হলো। রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকবে এটি স্বাভাবিক কিন্তু প্রতিহিংসার বা আক্রোশের কোন স্থান নেই। আমাদের একমাত্র কাজ জনগণের পাশে থেকে তাদের স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানো, তাদেরকে বিব্রত করা বা তাদের বিরক্তির কারণ না যেন আমরা না হই। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।
এম.এ.এ/আ.আ
মন্তব্য করুন: