যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই কিন্তু বৈধ পাসপোর্ট আছে এবং যাদের পাসপোর্টে বায়োমেট্রিক ডেটা রয়েছে, তারা যেন ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন—এমন দাবি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, প্রবাসী ভোটের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন পাইলট করবেন—তখন থেকেই আমরা নাছরবান্দার মতো লেগে আছি, না, আমাদের প্রবাসী ভাইবোনদের সবার ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। পাইলটের মাধ্যমে কেউ ভোট দিতে পারবে, কেউ পারবে না—এটা কোনোভাবেই হবে না।
তিনি জানান, একটি ইতিবাচক দিক হলো, ইসি ইতোমধ্যে নোটিশের মাধ্যমে জানিয়েছে, যেসব প্রবাসীর এনআইডি কার্ড আছে, তারা সবাই ভোট দিতে পারবেন।
পাসপোর্টধারীদের এনআইডি সহজীকরণ চেয়ে তিনি বলেন, অনেক প্রবাসী ভাইবোন আছেন যাদের পাসপোর্ট আছে, কিন্তু এনআইডি নেই। তাদের বায়োমেট্রিক দিতে হয় অনেক দূরে গিয়ে, অফিস থেকে ছুটি নিতে হয়, ভোগান্তি পোহাতে হয়। নির্বাচন কমিশনেরও খরচ হয়। আমরা বলেছি, যাদের পাসপোর্টে বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন রয়েছে, সেই ডেটা পুল করে যেন এনআইডি তৈরি করা যায়।
তিনি আরও বলেন, যাদের পুরোনো এনআইডি আছে বা নতুন স্মার্ট এনআইডি আছে—দুই পক্ষকেই যেন ভোট দিতে দেওয়া হয়। পুরোনো এনআইডি থাকলেই যেন কেউ বঞ্চিত না হয়।
পাসপোর্ট থাকলেই যাতে ভোটের অধিকার দেওয়া হয়—এমন দাবির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এনসিপির প্রস্তাব হলো, যাদের এনআইডি নেই কিন্তু বৈধ পাসপোর্ট আছে, এবং যাদের পাসপোর্টে বায়োমেট্রিক ডেটা রয়েছে, তারা যেন ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন।
সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা যদি ১৫০ আসন নিশ্চিত করতে পারি, আর বাকিদের সঙ্গে যদি সমন্বয় হয়, তাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে পারি। নারীদের সংরক্ষিত আসন ও উচ্চকক্ষের হিসাবও এ ক্ষেত্রে যুক্ত করতে হবে।
প্রতীক নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এনসিপির আলাদা নাম থাকবে, এনসিপির প্রতীকেই থাকবে। অন্য দলের নাম বা মার্কা বিলীন হয়ে যাবে। এনসিপির ব্যানারে অনেকগুলো দল আসছে। ইনশাআল্লাহ বিগ টাইম একটা দল হতে যাচ্ছে।
ডেস্ক/ই.ই
মন্তব্য করুন: