জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ নানা দাবিতে আন্দোলনের মাঝেই প্রাথমিক জোটের ঘোষণা দিতে পারে ইসলামী দলগুলো। তবে এটি চলমান আন্দোলনে বড় দলগুলোর আচরণের ওপর নির্ভর করছে বলে মনে করেন কয়েকটি সংগঠনের নেতা। আর নির্বাচনী জোট গঠনে সর্বোচ্চ ছাড় দিতে রাজি বলে জানিয়েছেন জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
রাজধানী ও বিভাগীয় শহরে আলাদা বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছেন বেশ কয়েকটি ইসলামী দলের নেতাকর্মীরা। প্রায় অভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলনের মধ্যেই এবার আলোচনায় ইসলামী দলগুলোর নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গ।
চলতি বছরের শুরু থেকে বিভিন্ন কর্মসূচিতে একই মঞ্চে দেখা গেছে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসসহ বিভিন্ন ইসলামী দলের শীর্ষ নেতাদের। নির্বাচনী সমঝোতার স্বার্থে গত এপ্রিল থেকে জামায়াত ছাড়া পাঁচটি ইসলামী দলের মধ্যে হয়েছে লিঁয়াজো কমিটিও। এবার চলমান আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রাথমিক জোট করার আভাস ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের।
তিনি বলেন, ইসলামী সমমনা দলগুলো ইসলামের পক্ষে একটা বাক্স। সাথে সাথে যারা দেশ প্রেমিক রয়েছেন তাদের নিয়ে নির্বাচনী সমঝোতার সিদ্ধান্ত ও ঘোষণা আমাদের আগেই আছে। বর্তমানে যুগপৎ আন্দোলনটা যে চলছে তারই কিন্তু বাস্তবতা।
এদিকে, আন্দোলনের মাঠ থেকেই প্রকাশ্যে আসতে পারে জোট এমন দাবি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মহাসচিবের৷ তবে অন্যরা বলছেন, বড় দলগুলোর আচরণের ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে জোট গঠনের সম্ভাবনা৷
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, অনেক সময় জোট বা এলায়েন্স টেবিলে বসে বসে করা হয়। অনেক সময় রাজপথেও হয়। আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত আমরা এক বৃহত্তর ইসলামী জোট গঠন করবো। আগামী নির্বাচনে আমরা ইসলামপন্থি সকল দল অথবা যে সকল দল ইসলামী দল নয়, কিন্তু আমাদের সকলকে নিয়ে চলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে সেসব দল নিয়ে আমরা একটা প্লাটফরম তৈরি করবো।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আমরা ডমিনেট করবো না। আমরা বিগ ব্রাদারি এটিটিউট করবো না। আমাদের আসন সমঝোতার প্রশ্ন যখন আসবে তখন আমরা আসন যেগুলো ছাড়ার প্রয়োজন সেগুলো ছাড়বো। আমরা দলের মধ্যে কোনো কর্তৃত্ব, নেতৃত্ব এবং জোটের মধ্যে বড় ভাই সুলভ আচরণ করবো না।
ধর্মভিত্তিক নয়, এমন কয়েকটি দলও নির্বাচনী জোটে যুক্ত হওয়ার আশা নেতাদের।
ডেস্ক/ই.ই
মন্তব্য করুন: