[email protected] ঢাকা | শনিবার, ৮ই নভেম্বর ২০২৫, ২৪শে কার্তিক ১৪৩২
thecitybank.com

রাষ্ট্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মিলে মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে: রিজভী

চাঁপাই জার্নাল ডেস্ক:

প্রকাশিত:
১৬ সেপ্টেম্বার ২০২৫, ২১:২১

ছবি: সংগ্রহীত
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘রাষ্ট্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আঁতাতে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নির্মূলের কোনো গভীর নীলনকশা তৈরি হচ্ছে কি না—এটা আজ মানুষের ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাষ্ট্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মিলে এমন এক মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে, যেখানে বলা হচ্ছে—আমরা আওয়ামী লীগকে তাড়িয়েছি, এবার বিএনপিকেও ঘায়েল করতে হবে। এটা কি তাদের কোনো গভীর নীলনকশার অংশ নয়?’
 
আজ রবিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৮তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
 
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘দেশে এমন কিছু শক্তির উত্থান ঘটছে, যা গণতন্ত্রের চর্চা, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে শক্তিগুলোর উত্থান আমরা দেখছি, সেসব দেশের গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক, গণতন্ত্রের চর্চার জন্যও বিপজ্জনক এবং মানুষের যে ধর্মীয় চেতনা, সেটার জন্যও বিপজ্জনক।’
 
ডাকসু ও জাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান থেকে, যার মালিকের সঙ্গে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এটা কি অনিয়ম নয়?
 
রিজভী বলেন, ‘সরকারি কোনো প্রেসের মাধ্যমে ব্যালট পেপার ছাপানো যেত। কিন্তু তা না করে ব্যক্তিগত প্রেসে ছাপানো হয়েছে। এমন অনিয়ম দেখে জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষকেরা পর্যন্ত দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।’
 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ভূমিকার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ঢাবির উপাচার্য কোড অব কনডাক্ট তৈরি করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে—সাবেকেরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় মানেই সারা জীবনের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। সাবেক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের আত্মিক সম্পর্ক থাকে। এটি বিচ্ছিন্ন কোনো জায়গা নয়। বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনকে একচেটিয়া করতে সরকারপন্থী কিছু মানুষের সঙ্গে আঁতাত করে ভিসি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভূমিকা পালন করেছেন।
 
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, যাঁরা অতীতে অভ্যুত্থানে ছিলেন, তাঁদের অনেকেই এখন নতুন একটি সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে চান। তাঁরা সাংস্কৃতিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছেন। বিএনপি চর্চা করে দেশের মাটি মিশ্রিত রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংস্কৃতি। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী ইসলাম প্রচার করতে চায়। অথচ দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অনেক আগেই। তারা যদি মওদুদী মতবাদ প্রচার করতে চায়, তাহলে জনগণেরও মতামত রয়েছে।
 
ডেস্ক/ই.ই

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর