ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বিজয়ী নতুন নেতৃত্বকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর)।
আজ (বৃহস্পতিবার) এক বিবৃতিতে চরমোনাই পীর বলেন, সুষ্ঠু রাজনৈতিক চর্চা-ইসলামপন্থার জন্য ডাকসু নির্বাচন ঐতিহাসিক মাইলফলক হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন নির্বাচনী সংস্কৃতি থেকে দূরে ছিল। তরুণ প্রজন্ম ভোট দিতে পারেনি। এমন বাস্তবতায় ডাকসু নির্বাচন জাতির জন্য একটি আশার আলো হয়ে থাকবে। এজন্য তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং অন্তর্বতীকালীন সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, বিভিন্ন প্যানেল থেকে এবং স্বতন্ত্রভাবে যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। নির্বাচনে জয়-পরাজয় স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু তোমরা যে নিজেদেরকে দায়িত্বশীল হিসেবে উপস্থাপন করেছ, শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়েছ, এটাই তোমাদের ভবিষ্যত জীবনকে আরো শানিত করবে।
তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচনে ইসলামপন্থার বিজয় জাতিকে আশার আলো দেখিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। ধর্মের প্রতি ভালোবাসা এবং জীবন পরিচালনায় ধর্মের প্রাধান্য বাংলাদেশের মানুষের হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। ডাকসুতে মুক্ত ও স্বাধীন, নিরপেক্ষ ভোট দেওয়ার প্রথম সুযোগেই মানুষের ভেতরকার ইসলামবোধের প্রস্ফুটন হয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনেও এর প্রভাব দেখা যাবে।
ইসলামী আন্দোলন আমির ডাকসুর নতুন নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান রেখে বলেন, তোমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক। তোমাদের কর্মদক্ষতা, তোমাদের ইনসাফ, সততা ও সকলকে আপন করে নেওয়ার সাফল্য বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে ইসলামকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তুলবে। আর তোমাদের ব্যর্থতা, অদক্ষতা ইসলামপন্থাকে প্রশ্নের মুখে ফেলবে। তাই বলবো, দল-মত নির্বিশেষে সকলকে আপন করে নিতে হবে। সকলের মতের স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। ইসলামের উদারতায় সবাইকে সাথে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে উন্নতমানে নিয়ে যেতে হবে। ইসলামের প্রাথমিককালে সকল ধর্ম ও চিন্তার মানুষ যেভাবে ইসলামে স্বাচ্ছন্দবোধ করেছে তোমাদের কার্যকালেও যেন সকলে স্বাচ্ছন্দ ও নিরাপদবোধ করে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আল্লাহ তোমাদের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল করুন এই দোয়া করি।
ডেস্ক/ই.ই
মন্তব্য করুন: