[email protected] ঢাকা | রবিবার, ৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২শে ভাদ্র ১৪৩২
thecitybank.com

রাবিতে বামদের মধ্যেও শিবির ঢুকে গেছে : আমানউল্লাহ আমান

চাঁপাই জার্নাল ডেস্ক:

প্রকাশিত:
৪ সেপ্টেম্বার ২০২৫, ১৭:১৬

ছবি: সংগ্রহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান বলেছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যেও শিবির অনুপ্রবেশ করেছে। বাংলাদেশে যত জনসংখ্যা আছে, তার চেয়েও শিবিরের বট আইডি বেশি।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আমানউল্লাহ আমান বলেন, কোনো এলাকায় শিবিরের ১০ জন সদস্য থাকলেও, সেই এলাকার শিবিরের সভাপতি যদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো পোস্ট দেয়, তাহলে সেখানে ১০ হাজার লোক কমেন্ট করে। আমার প্রশ্ন হলো এই লোকগুলো কি জান্নাত থেকে আসে? নাকি জাহান্নাম থেকে ছুটি নিয়ে আসে? আমরা জানি না। তাই আমি তাদের আহ্বান জানাই আপনাদের আসল জনবল সামনে নিয়ে আসুন। আড়াল থেকে লুকিয়ে বক্তব্য দেবেন না। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা এখন এমন রাজনীতি আর গ্রহণ করছে না।

ছাত্রীদের কমিটি না দেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় একটি ব্যতিক্রমধর্মী ক্যাম্পাস। এখানে কোনো সংগঠন ২-৩টি লেয়ারে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালায়। রাবির হলের অনেক প্রভোস্ট ছাত্রীদের ডেকে এনে ইসলামী ছাত্রী সংস্থা করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। অনেকে ছাত্রদলে আসতে চাইলেও ভয়ের কারণে এগিয়ে আসতে পারেন না।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাবির জুলাই ৩৬ আবাসিক হলে রাত ১১টার পর প্রবেশ করায় ৯১ ছাত্রীকে হল প্রশাসন প্রাধ্যক্ষের কার্যালয়ে ডেকে পাঠিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। এর প্রেক্ষিতে ছাত্রদলের শাহ মখ্দুম হল শাখার সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান মিলন ওই ছাত্রীদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেন। তিনি ছাত্রীদের ফটোকার্ডের নিচে লিখেন ‘এগুলো ছাত্রী নয়, এগুলো বিনা পারিশ্রমিক যৌনকর্মী’।

এই ঘটনায় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে মিলনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক পদ স্থগিত করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির সদস্য ছিলেন, শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগ ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক।

ছাত্রদলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তদন্ত কমিটির সদস্যরা অভিযুক্ত মিলনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব না দিয়ে ফোন বন্ধ করে দেন। এতে প্রমাণিত হয় যে, উক্ত কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য তিনি ইচ্ছাকৃতভাবেই করেছেন। এর প্রেক্ষিতে তাকে ছাত্রদলের সহ-সভাপতির পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাবি শাখা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে মতিহার থানায় আনিসুর রহমান মিলনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এরপর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি গণমাধ্যমে জানানো হয়।

ডেস্ক/ই.ই


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর