প্রকাশিত:
৩ সেপ্টেম্বার ২০২৫, ১৭:৫১
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। আজ বিকেলে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন করতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
আজ বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে নিজের কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা এ কথা বলেন। এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক গোলাম রব্বানী উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ও ভোট গ্রহণের সময় নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছুটা সংশয় কাজ করছে বলে অনেকে জানিয়েছেন। তবে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর করতে ভোটকেন্দ্রে বুথের সংখ্যা আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে।
ভোট গ্রহণের সময় বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, প্রতি ভোটারের জন্য আট মিনিট করে সময় রাখা হয়েছে। প্রায় ৪০ হাজার ভোটার ভোট দিতে আসবেন, তা ধরেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভোটের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। এই সময়ের মধ্যে যদি কেউ ভোটকেন্দ্রের আঙিনায় উপস্থিত হন, তাঁদেরও ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
ডাকসুর নারী প্রার্থীদের জন্য ভালো পরিবেশ নেই
ডাকসু নির্বাচনে আর কোনো বাধা নেই জানিয়ে অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন হলেন, এক প্রার্থীর রিটের প্রেক্ষিতে আজ হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের শুনানি হয়েছে। রায় অনুযায়ী ৯ সেপ্টেম্বর নির্বাচন চালিয়ে যেতে আর কোনো বাধা নেই।
কোনো শিক্ষার্থী বা প্রার্থীর বিরুদ্ধে নারী প্রার্থীদের সাইবার বুলিং করার অভিযোগ পেলে সাইবার বুলিং টাস্কফোর্সের আওতায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল, ডাকসু নির্বাচনে বাধা নেই
নারী প্রার্থীকে ধর্ষণের হুমকির ঘটনায় করা নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুসন্ধান কমিটির বিষয়ে টাস্কফোর্স কমিটির প্রধান অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, একজন প্রার্থীকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অসৌজন্যমূলক কথা লিখেছিল। এ নিয়ে তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি প্রতিবেদন দিয়েছে। তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ ফোরামে আলোচনা করে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। তবে প্রক্টরের ক্ষমতাবলে ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
ডেস্ক/ই.ই
মন্তব্য করুন: