গোপালগঞ্জে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ কর্তৃক এনসিপি নেতাদের উপর হামলার প্রতিবাদে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ( ১৭ জুলাই) বিকাল সোয়া পাঁচটার দিকে শহরের বড় ইন্দারা মোড় থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শান্তিমোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এই সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবু জার গিফারী বলেন, গোপালগঞ্জে এনসিপির নেতৃবৃন্দের উপর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হামলার সাথে জড়িত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবী জানাচ্ছি। আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই গোপালগঞ্জ বাংলাদেশের বিছিন্ন কোন এলাকা নয়। আমরা লক্ষ্য করেছি সেখানে পুলিশ কাঙ্খিত ভূমিকা পালন করতে পারেনি। ০৫ আগষ্ট জনগণ যেভাবে তাদেরকে দেশকে বিতারিত করেছিল সেইভাবেই আন্দোলনের মাধ্যমে বাকি অংশটুকুকেও বিদায় করা হবে। বংলাদেশ আবারোও গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু করেছে দেখে তারা আবারোও চক্রান্ত শুরু করেছে। তাই সকল দলমতকে নির্বিশেষে তাদের ব্যাপারে ঐক্যমত থাকতে হবে।

কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সাবেক মেয়র মো: নজরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী দল। এই দলের প্রতিটি অঙ্গ সংগঠন জঙ্গি, খুনী ও সন্ত্রাসীদের দল। গতকালকের গোপালগঞ্জের ঘটনা তা আবারোও প্রমান করেছে। বিগত ১৭ বছর এই আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমন-পীড়ন, গুম, খুন ও আয়নাঘর সৃষ্টি করে নির্যাতন নিপিড়ন চালিয়েছে। তার প্রেক্ষিতে ছাত্র-জনতা মিলে মিশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে গত ০৫ আগষ্টে তাদের পতন ঘটিয়েছিল। পতন হওয়ার পর জনগন ভেবেছিল তারা তাদের ভূলগুলো স্বীকার করবে। কিন্ত তাদের কোন অনুশোচনা বোধ হয়নি। তাই আওয়ামী লীগকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, আপনারা যদি সন্ত্রাসী কাজ থেকে বিরত না থাকেন তাহলে আপনাদেরকে বাংলাদেশের জনগন ঘর ছাড়া করবে এবং আপনাদের ঘুমকে হারাম করে দেওয়া হবে। আমরা প্রশাসনে কোন হস্তক্ষেপ করতে চাই না। তবে আশা করি নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ যে যেখানে আছে প্রশাসন তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসবে। কারণ তারা (আওয়ামী লীগ) নিরাপদে চলাফেরা করবে এবং জনগনের জানমালের উপর হুমকি সৃষ্টি করবে এটি বাংলার মানুষ হতে দিতে চাই না।
তিনি আরোও বলেন, প্রশাসনে এখনোও যারা আওয়ামী লীগের দোসর আছেন, তারা যদি তাদেরকে সেল্টার দেন আশ্রয় দেন, তাহলে আপনাদের বিরুদ্ধেও কিন্ত এই বাংলার জনগন প্রদক্ষেপ নিতে কুন্ঠিত হবে না । আজকের এই বিক্ষোভ মিছিল থেকে বলতে চাই, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। আগামী দিনে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনের জন্য সকল দল প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর এই নির্বাচন যেন না হয় সেজন্য খুনী আওয়ামী লীগ আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চক্রান্ত করছে। বিক্ষোভ মিছিল থেকে মুদি সরকারকে আরোও বলতে চাই, অবিলম্বে এই খুনিদের জননী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে হস্তান্তর করা হোক। আর আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাসী, বাংলাদেশে আইনের মাধ্যমে খুনী হাসিনার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
এই বিক্ষোভ মিছিলে আরোও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক মো: রফিকুল ইসলাম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের রাজশাহী অঞ্চল পরিচালক মাও: আব্দুস সবুর, জেলা সভাপতি অধ্যাপক মোজাম্মেল হক, জেলা নায়েবে আমীর ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোখলেসুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু বকর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা আমীর হাফেজ গোলাম রাব্বানী, সদর উপজেলা আমীর হাফেজ আব্দুল আলীমসহ প্রমুখ।
এমএএ/আআ
মন্তব্য করুন: