[email protected] ঢাকা | মঙ্গলবার, ১৩ই মে ২০২৫, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩২
thecitybank.com

ঐতিহাসিক কোরআন দিবসে ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম/

নতুনভাবে যারা দুর্নীতি করতে পারছে না তারাই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী আখ্যা দিচ্ছে

নিজস্ব প্রতিনিধি:

প্রকাশিত:
১২ মে ২০২৫, ১৩:২৩

ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম। ছবি: চাঁপাই জার্নাল

বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, কোরআনের কথা তাদের অন্তরে বিষ বাক্যের মতো লাগে যারা মাদক খাইতে পারে না, দুর্নীতি করতে পারে না, সুদ ও ঘুষ খাইতে পারে না এবং জেনা করতে পারে না। তখন তারা চিন্তা করে রাজনীতি করি তো টাকা খাওয়ার জন্য, খাইতেই যদি না পারি তাহলে এই রাজনীতি করে করবো টা কি? তাই যারা খেতে দিচ্ছে না তাদেরকে বলো এরা জঙ্গি, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী এবং এরা দেশ বিরোধী।

রবিবার (১১ মে) ঐতিহাসিক কুরআন দিবস উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর মাঠে ছাত্রশিবিরের আয়োজনে গণ জমায়েত সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে এই কথা বলেন তিনি।

তিনি আরোও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে গত ৫৪ বছর যে কোন স্বাধীকার আন্দোলন ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য কারা জীবন বিলিয়ে দিয়েছে তা এই বাংলাদেশের ইতিহাস স্বাক্ষী দিচ্ছে। ইসলালী ছাত্র শিবির বিদেশে টাকা পাচার করে না, ধর্ষণ করে না, ছিনতাই, খুন ও রাহাজানি করে না। মানুষের সম্পদ লন্ঠুন করা ইসলামী ছাত্রশিবিরের কাজ নয়। ইসলামী ছাত্র শিবির মানুষকে ডাকে এক কালেমার দিকে যে কালেমা মানুষকে মুক্তি দিতে পারে।

আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রথম সারির নেতাদের তারা শহীদ করেছে। তারা মনে করেছিল প্রথম সারির কয়েকজন নেতাকর্মীকে তারা শহীদ করতে পারলে জামায়াত ও শিবির শেষ হয়ে যাবে। আর এইগুলো শেষ হয়ে গেলে শান্তিমতো যা চাই তাই করতে পারবো। তারা ২৪০ বিলিয়ন ইউএস ডলার বিদেশে পাচার করেছে। উন্নয়নের নামে, উন্নয়নের মহাসড়কে মানুষকে উঠিয়ে দিয়ে তল থেকে সবকিছু নিয়ে চলে গেছে এইদেশের। যুব শক্তিতে সম্পদে পরিনিত না করে এরা দারিদ্রময় রাষ্ট্র গঠন করেছে। এক অকার্যকর রাষ্ট্র গঠনের জন্য চেষ্টা করেছে। আপনারা একবার চিন্তা করুন কত অপকর্ম তারা করলে একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে বাইতুল মোকারম মসজিদের ইমাম পর্যন্ত পালিয়ে যায়। এখন একটা ইউনিয়নের নেতাদেরও খুঁজে পাওয়া যায় না। বাপ দাদাদের নাম করে জনগনের ট্রাক্সের টাকা তারা লুটপাট করে খেয়েছে। ২৪ এর গণ আন্দোলনে ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে তাদেরকে বিতাড়িত করেছে এবং তাদের জুলুমের জবাব দিয়েছে। তাই আবারোও কেউ যদি জুলুমবাজের রাজত্ব কায়েম করতে চাই তাহলে তাদের পরিণতি কী হবে তা ছাত্র-জনতা দেখিয়ে দিয়েছে।

ঐতিহাসিক কোরআন দিবস উপলক্ষে তিনি বলেন, ১৯৮৫ সালে কোরআনকে অবমাননা করার জন্য এই জেলার দিনমজুর ও ছাত্ররা তাদের বুকের তাজা রক্তকে ঢেলে দিয়েছিল। আপমার জনতা সেদিন মিছিলে অংশগ্রহণ করে কোরআনের পক্ষে তারা রায় দিয়েছিল। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাটিতে শহীদ মতিউর রহমান, শীষ মোহাম্মদের রক্ত ঝরেছে, সেই মাটি আজ ইসলামী আন্দোলনের জন্য দূর্জয় ঘাটিতে পরিণত হয়েছে। কোরআনের আলোকে যারা নিভাতে চেয়েছে যুগে যুগে আল্লাহ তাদের কন্ঠকে রূদ্ধ করে দিয়েছে।

তিনি আরোও বলেন, নাস্তিকদের চরিত্র হচ্ছে তারা বলে আমরা ধর্ম নিরপেক্ষ কিন্ত ধর্ম নিরপেক্ষতাও যে একটি পক্ষ সেটি তারা বুঝে না। তারা কোনআনকে নিয়ে যত কথা বলে ও যন্ত্রণায় ভূগে তারা অন্য কোন গ্রন্থ নিয়ে ততো কথা বলে না। কোলকাতার হাইকোর্টে কোরআনকে নিষিদ্ধ ঘোষিত করার জন্য রিট দায়ের এর প্রতিবাদে সারা বিশ্বের ন্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জেও প্রতিবাদ মিছিল পালিত হয়েছিল কিন্ত স্বৈরাচার এরশাদ সরকার সেটি সহ্য করতে পারেনি বরং নিরিহ মানুষের উপর গুলি চালিয়ে ০৮ জনকে শহীদ করেছিল। তাই আগামী দিনে আপনারা রায় দিয়ে বুঝিয়ে দিবেন এই বাংলাদেশ কোন ধর্মনিরপ্রেক্ষতা বাদীদের বাংলাদেশ নয়।

এই সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর শাখা শিবিরের সভাপতি আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল। এছাড়া আরোও উপস্থিত ছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের আমীর ড. কেরামত আলী, জেলা আমীর মাওলানা আবু জার গিফারি, সিনিয়র নায়েবে আমীর অধ্যাপক লতিফুর রহমান, নায়েবে আমীর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মুখলেসুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা জামায়াতে আমীর হাফেজ আব্দুল আলীম, পৌর আমীর হাফেজ গোলাম রাব্বানী, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ফাউন্ডেশন সম্পাদক আসাদুজ্জামান ভুঁইয়া, কেন্দ্রীয় প্লানিং ও ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পূর্ব শিবিরের সভাপতি সালাহউদ্দিন সোহাগ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পশ্চিম শিবিরের সভাপতি বায়েজিদ বোস্তামিসহ প্রমুখ।

এমএএ/আআ


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর