প্রকাশিত:
১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৯:৫৬
ছবি: সংগৃহীত
সাত বছর পর বর্ধিত সভা ডেকেছে বিএনপি। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি দলের এই বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বর্ধিত সভার তারিখ ঘোষণা করে বলেন, ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে যারা দলের প্রার্থী ছিলেন এবং দলের টিকেট অর্থাৎ প্রার্থী নন কিন্তু মনোনয়নের জন্য ‘সেকোন্ডারি’ কাগজ পেয়েছিলেন, তারাও বর্ধিত সভায় থাকবেন।
এছাড়া বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি, জাতীয় নির্বাহী কমিটি এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এবং জেলা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, থানা-উপজেলা-পৌর কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবরা অংশ নেবেন বর্ধিত সভায়।
বিএনপি ছাড়া ১১টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরাও থাকবেন।
রিজভী বলেন, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বর্ধিত সভা হবে। দলের নেতা-কর্মীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল, তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ে এক সঙ্গে এক জায়গায় বসে এ সভা করার প্রত্যাশা ছিল। সেই প্রত্যাশা পূরণে এবং একটি মহাআন্দোলন শেষে আমরা এই বর্ধিত সভা করতে যাচ্ছি।
বর্ধিত সভা উপলক্ষ্যে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিবকে আহ্বায়ক করে ২৭ সদস্যের বাস্তবায়ন কমিটি এবং ছয়টি উপকমিটি (ব্যবস্থাপনা, অভ্যর্থনা, আপ্যায়ন, শৃঙ্খলা, মিডিয়া ও চিকিৎসা সেবা কমিটি) গঠন করা হয়েছে।
রিজভী বলেন, বর্ধিত সভার স্থান ঠিক হলে পরে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
দীর্ঘদিন বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল হচ্ছে না, বর্ধিত সভাটি কাউন্সিলের বিকল্প কি না জানতে চাইলে বিএনপি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, না, বর্ধিত সভাটি কাউন্সিলের বিকল্প নয়। বর্ধিত সভা সবসময় হয়ে থাকে, ইতিপূর্বেও হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি ব্যাখ্যা দিয়েছি কেন এই বর্ধিত সভা। যেকোনো আন্দোলনের শেষে, নির্বাচনের শেষে অথবা প্রারম্ভে একটা মতামত জানার জন্য, বর্তমান তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীরা কী ভাবছেন, তৃণমূল্যের ভাবনা চিন্তাগুলো জাতীয় নেতারা শুনবেন, অবহিত হবেন। এই কারণে বরাবরই বর্ধিত সভা হয়ে থাকে। সেই দৃষ্টান্তকে সামনে রেখে এই বর্ধিত সভা হতে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, রফিকুল ইসলাম, এবিএম মোশাররফ হোসেন, সৈয়দ শাহিন শওকত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর লো মেরিডিয়ান হোটেলে বিএনপির বর্ধিত সভা ডেকেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর তিনদিন পরে ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যান তিনি।
ওই বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট নিয়ে অংশ নেয় বিএনপি। কিন্তু দিনের ভোট রাতে হয়ে গেছে বলে অভিযোগ এনে ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করে নতুন করে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানায় তারা। যদিও জোটের সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রথমে সুলতান মনসুর সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এরপর বিএনপিরও ২ জন সংসদ সদস্য দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ গ্রহণ করলে পরে বাধ্য হয়ে সবাইকে শপথ নেওয়ার অনুমতি দেয় বিএনপি। কিন্তু নির্বাচনে জয়লাভের পরও শপথ গ্রহণ করেনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ডেস্ক/আআ
মন্তব্য করুন: