প্রকাশিত:
৯ জুলাই ২০২৫, ১৯:৫৬
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তার দেশের বিভিন্ন শহরে রাশিয়া হামলা করেছে এবং এটিই ইউক্রেনে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় হামলা, যেখানে ৭২৮টি ড্রোন ও ১৩টি ক্রুজ বা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিয়েভে আরও অস্ত্র পাঠানো হবে বলার পর রাতভর এই হামলা চালালো রাশিয়া।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও দেশটির পূর্বাঞ্চলে নিয়মিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। অন্য এলাকাগুলোও হামলার বাইরে থাকছে না।
এই হামলার নিন্দা জানিয়ে জেলেনস্কি বলেছেন, এটা এমন সময় করা হলো, যখন শান্তি অর্জন ও যুদ্ধবিরতির জন্য অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুধু রাশিয়া একতরফা সবকিছু প্রত্যাখ্যান করে চলেছে।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। বলেন, তিনি (পুতিন) সবসময়ই আমাদের জন্য দারুণ, কিন্তু এখন এটা অর্থহীন বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, মস্কো এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবে না। ট্রাম্প সাধারণত যেভাবে কথা বলেন ও যেসব শব্দ ব্যবহার করেন, তা বেশ কর্কশ।
যুদ্ধবিরতি নিয়ে ট্রাম্প ও পুতিন নিয়মিত যোগাযোগের মধ্যে ছিলেন। কিন্তু সেটি ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির জন্য কার্যকর রূপ দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
গত সপ্তাহে পুতিনের সাথে ফোনালাপের পর ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি (পুতিন) খুবই অখুশী। তিনি শুধু মানুষ হত্যা চালিয়ে যেতে চান। এটা ভালো নয়।
এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন কিয়েভকে সামরিক সহায়তা স্থগিত করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলো। এখন সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে কিয়েভকে সহায়তা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে ইউক্রেন দশটি প্যাট্টিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পেতে পারে। রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা মোকাবেলায় কিয়েভ যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।
ডেস্ক/ই.ই
মন্তব্য করুন: