[email protected] ঢাকা | শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১
thecitybank.com

আফগানিস্তানে ৯৫ শতাংশ কমেছে আফিম চাষ

চাঁপাই জার্নাল ডেস্ক:

প্রকাশিত:
১৮ নভেম্বার ২০২৩, ১০:৪৪

তালেবানের নিরাপত্তাকর্মীরা আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশের শের সুরখ গ্রামে একটি পপিবাগান ধ্বংস করছেন। ফাইল ছবি : এএফপি

২০২২ সালের এপ্রিলে আফগানিস্তানে আফিম চাষের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে তালেবান। আফগানিস্তানই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় আফিম উৎপাদনকারী। এখান থেকেই ইউরোপ ও এশিয়ায় হেরোইন যেত।

কিন্তু জাতিসংঘের প্রতিবেদন জানাচ্ছে, তালেবান শাসনে আফগানিস্তানে আফিমের উৎপাদন ৯৫ শতাংশ কমেছে।


জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ সংক্রান্ত কার্যালয় ইউএনওডিসি একটি প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের তুলনায় আফিম চাষ ৯৫ শতাংশের বেশি কম হয়েছে। গত বছর দুই লাখ ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে আফিম চাষ হয়েছিল। এবার হয়েছে ১০ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে।

গত বছর আফিম উৎপাদন হয়েছিল ছয় হাজার ২০০ টন। এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩৩ টনে। এই বছর যে চাষ হয়েছে, তার মধ্যে ২৪ থেকে ৩৮ টন হেরোইন রপ্তানি করা যাবে। ২০২২ সালে রপ্তানি করা হয়েছিল ৩৫০ থেকে ৫৮০ টন।

গত বছর আফিম চাষ করে কৃষকদের রোজগার হয়েছিল ১৩৬ কোটি ডলার। এ বছর তা কমে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ডলারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যারা আফিম চাষ করতেন, তারা যাতে অস্ত্র পাচার বা অন্য কোনো বেআইনি কাজ না করে, সেদিকে নজর রাখা উচিত।

ইউএনওডিসির নির্বাহী পরিচালক ঘাডা ওয়ালি বলেছেন, ‘আজ আফগানিস্তানের মানুষের জন্য মানবিক ত্রাণ খুবই জরুরি। ধান ও তুলা চাষের জন্য প্রচুর পানি দরকার হয়।

আর আফগানিস্তানে পরপর তিন বছর খরা হয়েছে। তাই মানুষকে বাঁচাতে সেখানে বিনিয়োগ দরকার। তাহলেই আফগানদের আফিম চাষ থেকে সরিয়ে আনা যাবে।’

কিন্তু তালেবান ক্ষমতায় আসার পর সেখানে আন্তর্জাতিক ত্রাণ প্রায় যাচ্ছে না বললেই হয়। নারীদের অধিকার নিয়ে চিন্তিত দেশগুলো আফগানিস্তানকে ত্রাণ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর