[email protected] ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১
thecitybank.com

আসামের ২৮ জেলা থেকে বিশেষ আইন প্রত্যাহার

চাঁপাই জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশিত:
১ জুন ২০২৩, ০১:১৬

ভারতের আসাম রাজ্যে আফসপা বাতিলের দাবিতে রাজ্যের কমিহামাতে অবস্থান কর্মসূচি। গত জানুয়ারিতে তোলা

ভারতের মণিপুর রাজ্যে সহিংস পরিস্থিতির মধ্যে আসামের ২৮ জেলা থেকে সেনাবাহিনীর বিশেষ আইন আফসপা (আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট) তুলে নিল কেন্দ্রীয় সরকার।

এই আইনে নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে একক সিদ্ধান্তে গুলি চালাতে পারেন। এ কারণে এই আইনের বিরুদ্ধে অসংখ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে, বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতে।

২২ মে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছিলেন, ২০২৩ সাল শেষ হওয়ার আগে গোটা আসাম থেকে আফসপা তুলে নেওয়া হবে। চলতি সপ্তাহের গোড়ায় আসামের ৩৫টির মধ্যে ২৮ জেলা থেকে আফসপা তুলে নেওয়া হয়েছে।

তবে সাত জেলায় গত এপ্রিলে নতুন করে আইনটি পুনর্বহাল করা হয়েছে। এসব জেলায় আফসপা থাকছে। এসব জেলা হচ্ছে তিনসুকিয়া, ডিব্রুগড়, চাড়াইদেও, শিবসাগর, জোরহাট, গোলাঘাট এবং কার্বি আংলঙের ডিমা হাসাও। এর মধ্যে ছয়টি জেলা উত্তর বা আপার আসামে। সেখানে নিষিদ্ধ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার (ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম) এখনো কিছু অস্তিত্ব রয়েছে বলে বিশেষ আইনটি সেখান থেকে সরানো হয়নি। তার একটু নিচে মণিপুর, নাগাল্যান্ড এবং মেঘালয়ঘেঁষা ডিমা হাসাও থেকেও আইনটি তোলা হয়নি।

হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, তিনি আশা করছেন, আগামী নভেম্বরের মধ্যেই গোটা আসাম থেকে আফসপা প্রত্যাহার করা সম্ভব হবে।

আসাম পুলিশের মহাপরিচালক জ্ঞানেন্দ্র প্রতাপ সিং বলেছেন, হিমন্ত বিশ্বশর্মা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরে পুলিশ বিভাগে স্বচ্ছতা এসেছে এবং উপযুক্ত প্রার্থীরা চাকরি পেয়েছেন।

প্রতাপ সিং বলেন, দক্ষ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ঘাটতি এখন আসাম পুলিশে আর নেই। সে কারণে স্বাভাবিকভাবেই আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হয়েছে। ফলে আইনটি অধিকাংশ জেলা থেকে প্রত্যাহার করা হলো। মুখ্যমন্ত্রীর সুপারিশে আইনটি আসাম থেকে আংশিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

মণিপুরে আজ বুধবার সফরের তৃতীয় দিনে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সকালে মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্তবর্তী শহর মোরেতে যান। সেখানে তিনি কুকি সম্প্রদায়ের নাগরিক সমাজের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন এবং নিরাপত্তাব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। আজই তাঁর কাংপোকপি জেলায় যাওয়ার কথা। এই জেলাও সাম্প্রতিক সহিংসতায় বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজধানী ইম্ফলে ফিরে তিনি আবার একবার সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যালোচনা করবেন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর