প্রকাশিত:
২২ জুন ২০২৫, ১৭:১১
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বেড়েই চলছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আক্রান্ত বেশির ভাগই মধ্যবয়সী। এতে জনমনে বাড়ছে উদ্বেগ ও আতঙ্ক। তবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সকলকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
হাসপাতালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জেলায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬৯৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪৮ জন ডেঙ্গু রোগী এবং চিকিৎসা শেষে ছুটি নিয়েছেন ১৩ জন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাতেন খাঁ এলাকার বাসিন্দা আসমা বলেন, প্রথম দিকে জ্বর হয়েছিল এবং বমি হতেই থাকছিল। পরে হাসপাতালে এসে পরীক্ষা করে জানতে পারি আমার ডেঙ্গু হয়েছে এবং চিকিৎসা নেওয়ার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হই। এখানে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাসেবা ভালো পেয়েছি। বর্তমানে আগের চেয়ে কিছুটা সুস্থ আছি।
শিবতলা এলাকার বাসিন্দা জুয়েল বলেন, গত সোমবার থেকে আমার স্ত্রীর প্রচুর জ্বর শুরু হয়। পরে মঙ্গলবার হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়। রোগীর প্রচুর জ্বর, মাথা ব্যথা, শরীর-হাত ব্যথা করছিল। পরে টেস্ট করিয়ে দেখি আমার স্ত্রীর ডেঙ্গু হয়েছে। ছয় দিন থেকে হাসপাতালে আমার স্ত্রীর চিকিৎসা চলছে।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. মাসুদ পারভেজ বলেন, সাধারণত জুন ও জুলাই মাসে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ে এবং আমাদের এখানে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার মতো সামর্থ্য আছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং ক্রিটিক্যাল রোগীদের রাজশাহীতে রেফার্ড করা হচ্ছে। এছাড়া শিশুদের চেয়ে মধ্য বয়সীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
জনসচেতনার বিষয়ে তিনি বলেন, আসলে আমাদের কাজ জনসচেতনতা বৃদ্ধি নয়, বরং আমাদের কাজ হলো চিকিৎসাসেবা প্রদান করা। জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভা কাজ করবে। তবুও চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছি এবং তাদেরকে সচেতন করছি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. একেএম শাহাব উদ্দিন বলেন, বর্তমানে জেলায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই রোগ প্রতিরোধে আমরা নিয়মিত কাজ করছি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা তথ্য অফিসের সহোযোগিতায় মাইকিং কার্যক্রম চালু আছে এবং প্রতিটি মসজিদে জুমার দিনে ইমামদের মধ্যমে মুসল্লিদের মাঝে সচেতনতা মূলক প্রচারণাও চালানোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি সাধারণ মানুষ সচেতন হলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমতে পারে।
এম.এ.এ/ই.ই
মন্তব্য করুন: