গোমস্তাপুরে অবহেলায় শিশুর মৃত্যু, তিন নার্সকে অব্যাহতি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত নার্সদের অবহেলায় আয়ান নামে এক দেড় বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তিন নার্সকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল হামিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সায়ান নামে সেই শিশুটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর পৌরসভার মুক্তাশা হলপাড়া এলাকার আমিনের ছেলে।

এছাড়া দায়িত্ব থেকে অব্যহতি পাওয়া স্টাফ নার্সরা হলেন, আম্বিয়া খাতুন, মজিদা খাতুন ও আমেনা খাতুন।

স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, চিকিৎসায় অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ তুলে শিশুটির স্বজনসহ এলাকাবাসী হাসপাতালে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এ সময় তারা অভিযুক্ত নার্সদের একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এছাড়া এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে দায়িত্ব অবহেলার কারণে অভিযুক্ত তিনজন নার্সকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। এদিকে, এ ঘটনায় গোমস্তাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে শিশুটির পরিবার।

মৃত শিশুর পিতা আমিন জানান, গত ৮  জানুয়ারী (বুধবার) বিকেলে পাতলা পায়খানা জনিত কারনে  তার দেড় বছর বয়সী শিশুপুত্র আয়ানকে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার রাতে চলমান স্যালাইন শেষ হয়ে গেলে বিষয়টি কর্তব্যরত নার্সদেরকে জানায় শিশুটির পরিবার কিন্ত স্যালাইন লাগবে না  বলে জানায় কর্তব্যরত নার্সরা।

শিশুরটির পিতা আমিন অভিযোগ তুলে আরোও জানান, এ সময় তারা বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে  মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকে।  যথাসময়ে স্যালাইন না দেওয়ার কারণে তার ছেলে আজ শনিবার সকাল ছয়টার দিকে মারা যায় বলেও জানান তিনি।

গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আব্দুল হামিদ জানান, বিষয়টি আমরা জেনেছি এবং যারা দায়িত্বে ছিল তাদেরকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: খাইরুল বাসার জানান, শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে শিশুটির পরিবার। এই বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

এমএএ/আআ