[email protected] ঢাকা | রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪শে ভাদ্র ১৪৩১
thecitybank.com

কৃষক থেকে লাল-সবুজ পতাকার ফেরিওয়ালা মামা-ভাগ্নে

নিজস্ব প্রতিনিধি:

প্রকাশিত:
১৬ ডিসেম্বার ২০২৩, ২০:১৭

জাতীয় দিবস উপলক্ষে পতাকা বিক্রি করছেন শ্যামল সরকার ও প্রদীপ সরকার। ছবি: চাঁপাই জার্নাল

জাতীয় পতাকা হাতে ক্রেতার জন্য অপেক্ষা করছেন শ্যামল সরকার ও প্রদীপ সরকার।  তারা সম্পর্কে আপন মামা-ভাগ্নে। বিজয়ের মাস উপলক্ষে গত ০৩ ডিসেম্বর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকার আশেপাশেই দেখা মিলছে তাদের। বিভিন্ন জাতীয় দিবস উপলক্ষে পতাকা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা।

শ্যামল সরকার ও প্রদীপ সরকারের বাড়ি ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলায়।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) চাঁপাইনবাবগঞ্জের রেহাইচরের ডা. আ. আ. ম. মেসবাহুল হক বাচ্চু ডাক্তার স্টেডিয়ামের গেটে দেখা হয় ৪২ বছর বয়সী শ্যমল সরকার ও ২৪ বছর বয়সী প্রদীপ সরকারে সঙ্গে। দীর্ঘ আলাপচারিতায় বেশ সাবলীলভাবেই নিজের জীবন কাহিনি তুলে ধরেন তারা। নিজেদের সুখী মানুষ দাবি করে তারা বলেন, এ পেশাটা আমরা পছন্দ করি। পেশাকে বুকে ধারণ করি বলেই বিক্রি  করতে ভালো লাগে। তা দিয়ে চলে সংসার। দেশের জাতীয় দিবস ছাড়াও বিশ্বকাপ ফুটবল ও ক্রিকেট খেলার সময় বিভিন্ন এলাকায় পতাকা বিক্রি করে আসছেন শ্যমল ও প্রদীপ।

শ্যামল সরকার বলেন, বড় আকারের একটি পতাকা ২৫০ টাকা, মাঝারি আকারের পতাকা ২০০ টাকা, ছোট আকারের পতাকা ১৫০ টাকা, হাত পতাকা ২০ টাকা, হাতের ব্যান্ড ২০ টাকা ও মাথার ব্যান্ড ১০ টাকা করে বিক্রি করছি।

তিনি আরোও বলেন,  দিনে গড়ে দুই হাজার টাকার মতো বিক্রি হয়। থাকা-খাওয়া ও মালামালের খরচ বাদে এর অর্ধেকই লাভ থাকে।

প্রদীপ সরকার বলেন, ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই পতাকা বিক্রির উদ্দেশ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আসছেন তারা। তাদের মোট পনের জনের একটি দল পতাকা বিক্রি করতে এসেছেন। এখানে একটি সস্তা বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছে তারা।

এছাড়া প্রদীপ আরোও বলেন, অন্যসময় তারা কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

আব্দুর রাজ্জাক পলাশ বলেন, বছরের অন্য সময় জাতীয় পতাকা বিক্রি করতে দেখা যায় না এবং কেনার প্রতি মানুষের তেমন আগ্রহ থাকে না। স্বাধীনতার মাস ও বিজয়ের মাসকে সামনে রেখে মানুষ জাতীয় পতাকা কেনে। তাই বিজয় দিবসের মনোগ্রামযুক্ত ফিতা কিনলাম।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর