প্রকাশিত:
১৬ সেপ্টেম্বার ২০২৫, ১৬:০৩
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) অনার বোর্ডে দুই মেয়াদের এক ভিপি ও এক জিএসের নাম মোছা রয়েছে। পৃথক সময়ে নামগুলো মুছে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। সম্প্রতি ডাকসুসহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচনের সময় বিষয়গুলো আলোচনায় আসে। ডাকসুর এক ভিপি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) সাবেক সাধারণ সম্পাদকও (জিএস) ছিলেন। সেখানেও অনার বোর্ড থেকে তার নাম মুছে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, ডাকসুর সাবেক সহ-সভাপতিদের (ভিপি) নামের অনারবোর্ড থেকে ২০১৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার নাম মুছে দেওয়া হয়। তিনি ১৯৭৯-৮০ ও ১৯৮০-৮১ দুই মেয়াদে ডাকসুর ভিপি ছিলেন। সেদিন ডাকসু সংগ্রহশালায় ৩০-৪০ জন শিক্ষার্থী ঢুকে অনার বোর্ড থেকে প্রথমে তার নাম মুছে ফেলেন। পরে সংগ্রহশালায় টানানো ছবি খুলে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। একটি কল রেকর্ড ফাঁস হওয়ার জেরে এ বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে।
একই সময়ে চাকসুর অনার বোর্ড থেকে সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার নাম কালো কালি দিয়ে মুছে দিয়েছিলেন শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর গত ১৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তনে অতিথি ছিলেন সাবেক এ ছাত্রনেতা। তারপরও কালো কালি মোছা হয়নি অনার বোর্ড থেকে। ডাকসও ও চাকসু নির্বাচনের তোড়জোড় শুরুর পর আলোচনায় উঠে আসে বিষয়টি।
১৯৪৮-৪৯ মেয়াদে ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ছিলেন গোলাম আযম। সে সময় ভিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অরবিন্দ বোস। এ ছাড়া পরে ভারপ্রাপ্ত জিএস’র দায়িত্ব পালন করেন এ জামান খান। জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা ডাকসুর অনার বোর্ড থেকে তার নাম মুছে দেন। সেটি এখনও একই অবস্থায় আছে। গোলাম আযম দীর্ঘদিন জামায়াতে ইসলামীর আমির ছিলেন।
সূত্র: দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস/ডেস্ক/আ.আ
মন্তব্য করুন: