[email protected] ঢাকা | শুক্রবার, ১৪ই মার্চ ২০২৫, ৩০শে ফাল্গুন ১৪৩১
thecitybank.com

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

চাঁপাই জার্নাল ডেস্ক:

প্রকাশিত:
১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:২৭

প্রতীকী ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিভিন্ন ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল রবিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদারের পাঠানো পৃথক তিনটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত দুই শিক্ষককে চূড়ান্ত শাস্তি দিতে কমিটি গঠন হয়েছে। এছাড়া সাবেক এক শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বহাল, এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রত্যাহার ও তিন শিক্ষককে পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম থেকে পাঁচ বছরের জন্য বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, শিক্ষার্থীদের আনীত অভিযোগ তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অনীক কৃষ্ণ কর্মকারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এছাড়া আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের অভিযোগে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগের সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত পুনর্বহাল রাখা হয়েছে।

এই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩-এর আইনের ৫৫ (৩) ধারা অনুযায়ী চূড়ান্ত শাস্তি দিতে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলামের স্নাতকোত্তরের নিবন্ধন বাতিলের মাধ্যমে ছাত্রত্ব বাতিলের বিষয়ে গঠিত রিভিউ কমিটির প্রতিবেদন বিবেচনা করে তার ছাত্রত্ব পুনর্বহাল ও তার পরীক্ষার অপ্রকাশিত ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৬তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে ৪৬১তম সভায় রফিকুলের ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছিল।

জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মো. শামসুল আলম সরকারের প্রসঙ্গে ৪৬১তম সিন্ডিকেট সভার ১৩৭ নম্বর সিদ্ধান্ত বিষয়ে গঠিত রিভিউ কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ডিকেটের ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

অধ্যাপক মো. শামসুল আলম সরকার কুটকৌশলের কারণে বিনা অপরাধে সাজা ভোগ করেছেন প্রমাণিত হওয়ায় একই বিভাগের শিক্ষক আব্দুল হক, আলী আকবর ও আশরাফুজ্জামান খানকে আগামী পাঁচ বছর পরীক্ষাসংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ওই সিদ্ধান্তে অধ্যাপক মো. শামসুল আলম সরকার সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সিন্ডিকেট তার প্রতি গভীর সমবেদনা জানায়।

ডেস্ক/আআ


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর