[email protected] ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১
thecitybank.com

চাঁপাইনবাবগঞ্জে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

নিজস্ব প্রতিনিধি:

প্রকাশিত:
৪ জুলাই ২০২৩, ০৭:৩৫

ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ।

সোমবার (০৩ ই জুলাই) চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মো. আব্দুল ওদুদ ও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম জেসির মাধ্যমে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ এই স্মারকলিপি প্রদান করেন। দুই সংসদ সদস্যকে পৃথকভাবে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।


স্মারকলিপি গ্রহণকালে আব্দুল ওদুদ বলেন, ১৯৭৩ সালে শিক্ষক আন্দোলনের সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। এরপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বাকি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগেও বলেছেন, পর্যায়ক্রমে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা হবে। আমি এই স্মারকলিপি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিব।


সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম জেসি বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার। এ সরকারের আমলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। আমরা এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের বিষয়টি সংসদে উত্থাপন করব।


স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ওবাইদুর রহমান ও মো. আসলাম কবীর, জেলা কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আতিকুল ইসলাম, সহসভাপতি ও সিটি কলেজের অধ্যক্ষ তরিকুল আলম সিদ্দিকী নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ কবীর, ক্রীড়া সম্পাদক রুবেল ইফতেখারুল ইসলাম রুবেল, দেলশাদ তাহমিনা, বাবুল আখতার, নবাবগঞ্জ মহিলা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহিল কাফিসহ অন্য শিক্ষকগণ।
আজ মঙ্গলবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (নাচোল-গোমস্তাপুর-ভোলাহাট) আসনের সংসদ সদস্য মু. জিয়াউর রহমানকেও একই স্মারকলিপি প্রদান করা হবে বলে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ জানান।


স্মারকলিপিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ নেতৃবৃন্দ জানান, ১৯৭৩ সালের ৭৩ দিনের শিক্ষক আন্দোলনের সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেটে ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষকদের বেতন ৫০/- টাকা থেকে ৭৫/- টাকায় উন্নীত করেন এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষকদের বেতন ১৫০/- টাকায় উন্নীতকরণসহ রেশনিং ব্যবস্থা চালু করেন। বঙ্গবন্ধু তখন বলেছিলেন, আগামী কিছুদিনের মধ্যে আমি মাধ্যমিক (মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক) শিক্ষা জাতীয়করণ করে দিব। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এ পর্যন্ত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জাতীয়করণের দাবিটি পূরণ হয়নি।


স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতাকে শতভাগে উন্নীতকরণ, জাতীয় বেতন স্কেলভিত্তিক ৪৫-৫০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া প্রদান এবং ৫০০/- মাসিক চিকিৎসা ভাতাকে ১৫০০/-টাকায় উন্নীত করা এবং এটা করতে খাতগুলোতে সরকারের বার্ষিক অতিরিক্ত টাকা লাগবে সর্বোচ্চ ২ হাজার কোটি টাকা।

এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয় সরকারি কোষাগারে জমা নিলে প্রতি অর্থবছরে আয় হবে প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকা। ফলে বছরে বেতন খাতে জাতীয়করণ করা শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য কোনো অতিরিক্ত অর্থ সরকারকে দিতে হবে না, বরং সরকারি কোষাগারে বাড়তি কিছু পরিমাণ টাকা জমা হবে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর