প্রকাশিত:
৬ নভেম্বার ২০২৫, ২২:১৯
ওয়ারিশন সনদপত্র নিতে এসে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে তা নিয়ে যাওয়ার পর আবারো লোকজন নিয়ে এসে মারধরের চেষ্টার অভিযোগে আটককৃত এক যুবককে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৬ নভেম্বর) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় ওই যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে পৌরসভার কর্মচারী ও নিরাপত্তা রক্ষীরা।
প্রথমবার একায় এসে ওয়ারিশন সনদপত্র নিয়ে গেলেও দ্বিতীয় দফায় কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে এসে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি ভাংচুর করার হুমকি দেয় এবং বাইরে থাকা লোকজনকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেয় আটককৃত যুবক মেরাজুল। এমনকি মারধরের চেষ্টা করতে গেলে তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয় পৌরসভার স্টাফরা। এসময় তার সাথে আসা লোকজন পালিয়ে যায়। আটককৃত যুবক জেলা শহরের আজাইপুর ধানুরমোড় এলাকার এহসান আলীর ছেলে মেরাজুল ইসলাম (২১)।
জানা যায়, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশীদের কক্ষে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একটি সভায় বসেছিলেন। এসময় হঠাৎ দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলে প্রবেশ করে উচ্চবাক্য এবং হট্টগোল করে ওই যুবক। এসময় সভায় উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে থামায় এবং দ্রুত তাকে তার ওয়ারিশন সনদপত্র বুঝিয়ে দেয়া হয়। এসময় পৌরসভা ত্যাক করে মেরাজুল।
পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নিরাপত্তা রক্ষীরা জানান, বিকেলে এই ঘটনার পর আবারো দলবল নিয়ে বিকেল ৫টার দিকে থানায় আসে মেরাজুল। এসময় একা দ্বোতলায় গিয়ে হামলা-মারধরে চেষ্টা করে। এমনকি মুঠোফোনে নিচে থাকা লোকজনকে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ির নম্বর অবগত করে এবং গাড়ি বের হওয়া মাত্রই ভাংচুর ও হামলার নির্দেশ দেয়। এমন অবস্থায় নিরাপত্তারক্ষী ও পৌরসভার কর্মচারীরা তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে সন্ধ্যায় তাকে আটক করে নিয়ে যায় সদর মডেল থানা পুলিশ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশীদ জানান, অফিসে এসে দুই বার হট্টগোল, বিশৃঙ্খলা ও মারধরের চেষ্টার ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত। নিরাপত্তা ও তার শাস্তি নিশ্চিত করতেই পুলিশকে খবর দেয়া হলে তারা তাকে আটক করে নিয়ে গেছে। অথচ তাকে (মেরাজুল) তার ওয়ারিশন সনদপত্র দ্রুত সময়ে, এমনকি দুপুরে আবেদন করে বিকেলেই দেয়া হয়েছে। তবুও এমন কান্ড করেছে সে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন আকন্দ বলেন, পৌরসভায় গিয়ে হট্টগোল সৃষ্টির খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয় এবং অভিযুক্ত যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এনিয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জা.আ/আ.আ
মন্তব্য করুন: