[email protected] ঢাকা | মঙ্গলবার, ২১শে অক্টোবর ২০২৫, ৫ই কার্তিক ১৪৩২
thecitybank.com

প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলায় সাইদুরের আবারোও জামিন না মঞ্জুর

নিজস্ব প্রতিনিধি:

প্রকাশিত:
১৩ অক্টোবার ২০২৫, ১৩:৪৫

সাইদুর রহমান। ছবি: সংগ্রহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিশিষ্ঠ ব্যাবসায়ী তরিকুল ইসলাম ওরফে টি ইসলালের সাথে জমি বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগে মো: সাইদুর রহমান (৪২) নামে এক ব্যাক্তিকে আবারোও জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত। সোমবার (১৩ অক্টোবর) নাচোল আমলি আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইশিতা শবনম এই আদেশ দেন।

জেল হাজতে প্রেরণকৃত সাইদুর রহমান নাচোল উপজেলার মানিকরা এলাকার মৃত সাবান আলী মন্ডলের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, তরিকুল ইসলাম ও সাইদুর রহমানের মধ্যে নাচোল উপজেলার মানিকরা মৌজার একটি জমি সাত লাখ টাকায় কেনা-বেচার আলোচনা হয়। সেই মোতাবেক তরিকুল ইসলাম আড়াই লাখ টাকা দিয়ে সাইদুর রহমানের কাছে বায়না রেজিস্ট্রি করে নেয় এবং পরবর্তী ০৬ মাসের মধ্যে বাকি টাকা পরিশোধ করে রেজিস্ট্রি করে নিবে বলে কথা হয়। কিন্ত পরবর্তীতে সাইদুর রহমান জমি রেজিস্ট্রি দিচ্ছি দিবো বলে নানান তালবাহনা শুরু করে। একপর্যায়ে জমিটি নিয়ে তরিকুল ইসলামের মনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। পরে তিনি ২০২৫ সালের ২৭ এপ্রিল রাজশাহী সাব রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে জমিটির বিষয়ে খোঁজখবর নেন এবং জানতে পারেন সাইদুর রহমান যে জমিটি তার কাছে বিক্রি করছেন সেটির দাতা, গ্রহীতা ও তফশীলের মধ্যে ভিন্নতা আছে। পরে তরিকুল ইসলাম সাইদুর রহমানের কাছ থেকে বায়নামার টাকা ফেরৎ চান এবং সাইদুর রহমান বায়নার টাকা ফেরৎ দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরবর্তীতে তরিকুল ইসলাম সাইদুর রহমানের উপর নাচোল আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন ও আদালত নাচোল সাব রেজিস্ট্রি অফিসকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। পরবর্তীতে নাচোল সাব রেজিস্ট্রি অফিস আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে এবং সাইদুর রহামনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এমতাবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সাইদুর রহমান আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং আজকে আবারোও বিজ্ঞ আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন নাঞ্জুর করেন এবং সুবিচারের জন্য মামলাটি চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বদলির আদেশ দেন ।

বাদির আইনজীবী নাহিদ ইবনে মিজান জানান, প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলায় সাইদুর রহমান দ্বিতীয় দফায় আদালতে জামিন আবেদন করেন। বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করেন এবং বিচারের জন্য মামলাটি চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রিট আদালতে বদলি করেন।

এম.এ.এ/আ.আ


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর