[email protected] ঢাকা | রবিবার, ১৩ই জুলাই ২০২৫, ২৯শে আষাঢ় ১৪৩২
thecitybank.com

খালেদা হত্যা মামলায় মা-ছেলে গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি:

প্রকাশিত:
৮ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৫

প্রতিকী ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার অরুনবাড়ী (বেহুলা) বাজার এলাকা থেকে খালেদা হত্যা মামলার এজহার নামীয় দুইজন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৫, সিপিসি-১, চাঁপাইনবাবগঞ্জ। মঙ্গলবার (০৮ জুলাই) গণামধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটি।

আটককৃতরা হলেন, হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক ১২নং আসামী মো: মতিউর রহমানের স্ত্রী মোসাঃ রফিনা বেগম (৪৫) এবং ১৪নং আসামী মতিউর রহমানের ছেলে মোঃ আঃ জলিল (২৮)। তাদের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার অরুনবাড়ী  (বেহুলা) এলাকায় এবং তারা সম্পর্কে মা ও ছেলে।

র‌্যাবের সূত্র থেকে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (০৭ জুলাই) সদর উপজেলার অরুনবাড়ির (বেহুলা) বাজার এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হত্যা কান্ডের পর থেকে পলাতক ছিলেন। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, খালেদা হত্যা মামলার বাদী ও আসামীগন পরস্পর জ্ঞাতিগোষ্টি। দীর্ঘদিন ধরে তাদের পৈত্রিক বসত ভিটায় বাড়িঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিল । প্রায় ০১ বৎসর  পূর্বে বাদী মো: সবুর আলী তার ভাগের জমিতে বাড়ী ঘর তৈরী করিবার উদ্যোগ গ্রহন করলে আসামীগণ তাকে বাড়ী ঘর নির্মানে বাঁধা প্রদান করে। ফলে বাদী তাদের ভিটের জমি মাপজোখ করার জন্য গ্রাম্য শালিস ডাকেন। শালিসদারগন উভয়ের জমির আইল সীমানা মাপজোখ করে দেখতে পায় যে, আসামীগণ তার প্রাপ্য জমির প্রায় ০১ ফুট ভিতরে বাড়ী ঘর নির্মান করেছেন। এতে আসামীদের পাকা বাড়ী ভেঙ্গে দখলকৃত জমি উদ্ধার করা সম্ভব নয় বলে শালিদারগন সিদ্ধান্ত নেয় এবং উক্ত জমি বাবদ বাদীকে ক্ষতিপুরন প্রদান করার জন্য শালিসদারগন আসামীগনকে বলে, কিন্তু আসামীগণ শালিসদারগনের সিদ্ধান্ত অমান্য করে এবং এই শালিস আয়োজনের জন্য আসামীগণ বাদীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে  উঠে । গত শনিবার (০৫ ‍জুলাই) বাদী মো: সবুর আলী তার নির্মাণাধীন বাড়ির ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শুরু করেন এবং তিনিসহ তার  স্ত্রী ও দুই কন্যা খালেদা বেগম ও লিপি বেগম সেখানে কাজে সাহায্য ও তদারকি করছিলেন। এমন সময় পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক এজাহার নামীয় আসামীগণ হাতে হাঁসুয়া, কাতা, লাঠি ,লাদনা, লোহার রড ইত্যাদি নিয়ে  আসামীগণ তাদের ছাদ থেকে বাদীর ছাদে আসে এবং  তাদের হাতে থাকা লাঠি লাদনা ও লোহার রড় সহ হাঁসুয়া, কাতা ও কোপতার উল্টা দিক দিয়া বাদীসহ তার স্ত্রী কন্যাকে  মারপিট করে এবং বাদী মো: সবুর আলী ও তার পরিবার প্রাণ বাঁচানোর জন্য ছাদ হতে নীচে নেমে আসলে আসামীগন আবারো ছাদ থেকে নিচে নেমে আসে এবং আসামী মামুন বাদীর বাম পায়ের হাঁটুর উপরিভাগে স্বজোরে কোপ মারিলে মো: সবুর আলী মাটিতে পড়ে যায়।  আসামী সাদিকুল সবুর আলীকে কোপাইতে গেলে পিতাকে প্রাণে বাঁচানোর জন্য তার কন্যা খালেদা তার উপর পড়ে তাকে রক্ষার চেষ্টা করে। খুনি আসামী নিয়ামত সবুর আলীর মেয়ে খালেদা ডান হাত মোচড়িয়ে ধরে এবং সাদিকুলের হাত থেকে ধারালো কাতা দিয়ে খালেদার ঘাড়ে একাধিক কোপ মেরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। প্রচুর রক্তক্ষরনের কারনে খালেদা নিস্তেজ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেলেও  অন্যান্য আসামীগণ লাদনা দিয়ে খালেদার শরীরসহ সবুর আলীর স্ত্রীসহ অপর কন্যাকে  আঘাত করে আহত করে । পরে সেখানে অনেক লোকজন উপস্থিত হলে আসামীগন সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে যায় ।  উক্ত ঘটনায় খালেদার পিতা মোঃ সবুর আলী(৬৬) বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় ১৫ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

এমএএ/আআ


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর