[email protected] ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১
thecitybank.com

পরিবারের বিরুদ্ধে মেয়ের সংবাদ সম্মেলন

চাঁপাই জার্নাল ডেস্ক:

প্রকাশিত:
৭ আগষ্ট ২০২৩, ০৩:২৮

ছবি: সংগৃহীত

কলেজে লেখাপড়া করার সুবাদে প্রায় ৭ বছর আগে মানিক চন্দ্র প্রামানিক ও কথা বসাকের মধ্যে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। এরপর প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে নিজ ইচ্ছায় ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি হিন্দু রীতিতে বিবাহ নিবন্ধন করেন এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রথা অনুযায়ী বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন তারা।

কিন্তু মেয়ের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় প্রেমের বিয়ে মেনে না নিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। প্রতিবাদে মেয়ে কথা বসাক পরিবারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

রোববার (৬ আগস্ট) দুপুরে নওগাঁর মান্দা উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

ভুক্তভোগী মানিক চন্দ্র প্রামানিক (৩১) মান্দা উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের কৃষক অনিল চন্দ্র প্রামানিকের ছেলে। কথা বসাক (২১) নওগাঁ সদর উপজেলার পার-নওগাঁর বাসিন্দা কল্যাণ কুমার বসাকের মেয়ে।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বসাক বলেন, আমার বাবা প্রভাবশালী ও আর্থিকভাবে স্বচ্ছল। কিন্তু আমার স্বামীর পরিবার আর্থিক অবস্থা একটু খারাপ হওযায় বিষয়টি আমার বাবা-মা মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এছাড়া বিভিন্নভাবে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আমাদের দুজনকে ফাসাঁনোসহ খুন-জখমের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি আমার স্বামী মানিক চন্দ্র প্রামানিকের বাড়িতে আমাকে ধরার জন্য তল্লাশি চালিয়েছে আমার পরিবারের লোকজন। শুধু তাই নয় আমাকে নিখোঁজ দেখিয়ে থানায় একটি অভিযাগে দায়ের করে আমার স্বামী ও পরিবারের লোকজনকে হয়রানি করানো হচ্ছে। আমার পরিবারের ভয়ে বাড়িতে ঠিকমত থাকতে পারি না। আমরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

সংবাদ সম্মেলনে এই দম্পতি সুন্দর ও সুস্থভাবে সংসার করতে প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। এ সময় ভুক্তভোগী মানিক চন্দ্র প্রামানিকসহ পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয় এলাকাবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে কথা বসাকের কাকি সোনা বসাক এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিকের সাথে তাদের কোনো কাজ নেই বলে ফোন কেটে দেন।

এ বিষয়ে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, ছেলের পরিবারের পক্ষ থেকে কয়েকজন থানায় এসে মৌখিকভাবে বলেছেন মেয়ের পরিবারের লোকজন এসে তাদেরকে হয়রানি করছেন। তবে তাদেরকে বলেছিলাম পরবর্তীতে মেয়ের পরিবারের কেউ আসলে থানায় খবর দিতে। কিন্তু পরবর্তীতে তারা আর যোগাযোগ করেনি।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর