[email protected] ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১
thecitybank.com

পুঠিয়ায় বিয়ের দাবিতে রংপুরের তরুণীর অনশন

চাঁপাই জার্নাল ডেস্ক:

প্রকাশিত:
২৬ জুলাই ২০২৩, ০৬:৫২

প্রতিকী ছবি

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার নওপাড়ায় বিয়ের দাবিতে রংপুর থেকে তরুণী এসে করছেন অনশন। আর এ কারনে বাড়ি থেকে প্রেমিক এরশাদ আলী পালিয়ে গেছেন।মঙ্গবার (২৫ জুলাই) সকাল থেকে ওই তরুণী অনশনে বসে প্রেমিক এরশাদ আলীর বাসায়।

সরজমিনে গিয়ে এর সত্যতা মিলেছে। দেখা যায় উপজেলার ভালুকগাছি ইউপির নওপাড়া গ্রামের রাখাল মিয়ার ছেলে, এরশাদ আলীর বাসায় অনশন করছেন রংপুর থেকে আসা ওই তরুণী। সাংবাদিকরা মেয়েটির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে রাখাল মিয়া ( মেজো ছেলে), আশরাফুল ওই বাড়ি থেকে সবাইকে তাড়িয়ে দেয়। এমনকি স্থানীয় এলাকাবাসীদেরকেও ওই বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছে না। পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনশনে বসা ওই তরুণীর সাথে মোবাইলে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তরুণীর সাথে কথা হয়। ওই ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্য ও হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।

অনশনে বসা ওই তরুণীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা দুজনে ঢাকার মেঘনায় একটি কোম্পানিতে কাজ করার সুবাদে এরশাদের সাথে সম্পর্ক তৈরি হয়। তা একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়। আমাদের প্রায় ৮ মাস যাবত প্রেমের সম্পর্ক। গত কিছুদিন আগে ঢাকার মেঘনা এলাকায় আমাদের দুজনের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল কিন্তু ওই ছেলেটি আমাকে ওখানে রেখে বিয়ে না করে এখানে পালিয়ে চলে আসে। তাই আমি দিসে না পেয়ে তার দেওয়া ঠিকানা তার বাসায় এসে বিয়ের দাবি জানাচ্ছি। আমার প্রেমিক

এরশাদের সাথে আমার টাকা লেনদেন রয়েছে তাকে আমি বহু টাকা দিয়েছি। আমি টাকা ফেরত চাই না। আমি স্বামী হিসেবে পেতে চাই। যার কারনে আমি এত টাকা তার পেছনে খরচ করেছি, তাকে দিয়েছি। আমি বাধ্য হয়ে এত দূর থেকে এসে তার বাসায় উঠেছি।

এ বিষয়ে জানতে প্রেমিক এরশাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোন রিসিভ না করা তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ওই ঘটনায় জানতে চাইলে স্থানীয় মেম্বার সাইদুর রহমান তিনি বলেন, এরশাদের বাসা থেকে আমাকে এখন পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। আমি যখন ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন ওখানে দাঁড়িয়ে শুনলাম ঘটনাটি। পরে ওই অনশনে বসা মেয়েটির সাথে কথা হয়। ওই মেয়েটির সাথে কথা বলে জেনেছি তাদের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে তাই এত দূর থেকে বিয়ের দাবিতে এখানে এসেছে।

এদিকে ওই ঘটনা সম্পর্কে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে রংপুর, পীরগাছা উপজেলার পারূল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান তিনি বলেন, তাদের মধ্যে হয়তো প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তাছাড়া কেন এত দূর থেকে ওই মেয়েটি ওখানে গিয়ে অনশনে বসবে। আমরা চাই বিষয়টির সুষ্ঠু একটা ফায়সালা করা হোক।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে পুঠিয়া উপজেলার ভালুকগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান তিনি বলেন, সকাল থেকে রাত হয়ে গেল বিষয়টি আমি এখনো জানিনা। ঘটনাটি সত্য হলে বিষয়টি দেখা যাবে কি করা যায়।

উল্লেখ্য যে, গত কিছুদিন আগে একই উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের আরো একটি গ্রামে অনশনে বসার ঘটনাও ঘটেছিল।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর