কনকনে শীতে কাঁপছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জনজীবনে ভোগান্তি

গত কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসের দাপটে শীতে বিপর্যস্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। সূর্যটাও যেন দেরি করে উঠছে। আলোতে যেন কোনো তেজ নেই। এতে মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) চাঁপাইনবাবগঞ্জে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ রবিবার তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছে ৯.৭ সর্বোচ্চ ১৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস । রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক আব্দুস সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা রয়েছে সূর্য। সকাল থেকে বিরাজ করছে মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশ। প্রচণ্ড ঠান্ডা, ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় দিন-মজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ নাকাল হয়ে পড়েছেন।

দুলাল নামের এক রিকশাচালক বলেন, গত তিন ধরে খুব ঠান্ডা পড়ছে, বাতাসও হচ্ছে। রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। মানুষও বাড়ি থেকে বের হয় না, ভাড়াও মারতে পারি না। বাতাসের মধ্যে একটা জায়গায় বসে থাকতে হচ্ছে।

চরাঞ্চলের বাসিন্দা শিউলি বেগম বলেন, শীতে খুব কষ্ট হচ্ছে, বাতাসও প্রচুর। দিনে কয়েকবার এলাকার লোকজন খড়কুটা ও লাকড়ি সংগ্রহ করে আগুন পোহায়।

এদিকে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় গরম পোশাকের বেচা-কেনা যেমন বেড়েছে, তেমন বেড়েছে গরম পোশাকের দাম। শীতের পোষাক কিনতে আসা কাউসার আলী বলেন, ঠান্ডা বেশি পড়ার কারণে শীতের পোষাক কিনতে এসেছি।

অপরদিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর পরিমান। তবে বয়স্ক রোগীর তুলনায় শিশু রোগীর পরিমান বেশি।

ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি শিশু রোগী সায়েব আহমেদের পিতা সবুজ আলী বলেন, আমার ছেলে গত তিনদিন থেকে ডায়রিয়ায় ভুগছিলেন। বাড়িতে অনেক অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তারপরে হাসপাতালে সাথে সাথে নিয়ে এসেছিলাম। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে এখন সুস্থ আছে। আজকে তাকে রিলিজ করে দিয়েছে ডাক্তাররা।

জেলা হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ইনচার্জ তাসলিমা খাতুন বলেন, আমাদের এখানে বড়দের চেয়ে শিশুদের ডায়ারিয়ার প্রকোপটা বেশি। গত ২৪ ঘন্টায় ডায়রিয়া রোগি ভর্তি হয়েছে ৩৩ জন এবং রিলিজ হয়েছে ১১ জন। আমাদের এখানে পর্যাপ্ত ঔষধপত্রের সাপ্লাই আছে।