[email protected] ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১
thecitybank.com

‌‌গোমস্তাপুরে ২১ সে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

মোঃ সামিরুল ইসলাম, গোমস্তাপুর উপজেলা প্রতিনিধিঃ

প্রকাশিত:
২১ আগষ্ট ২০২৩, ২২:৪১

ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ২১ সে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার লক্ষ্যে গ্রেনেড হামলায় নারী নেত্রী আইভি রহমানসহ শাহাদাত বরণকারী শহীদদের স্মরণে জাতীয়, দলীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন, আলোচনা সভা, বিক্ষোভ মিছিল ও দোয়া খায়ের অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২১আগস্ট) সকাল ১০ টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও রহনপুর পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে কালো পতাকা উত্তোলন আলোচনা সভা, বিক্ষোভ মিছিল, র‌্যালি ও দোয়া খায়ের অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ও (সভাপতি) গোমস্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ মোহাঃ গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও গোমস্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হুমায়ুন রেজা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রহনপুর পৌর আওয়ামী সভাপতি আব্দুল আজিজ, জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক হালিমা খাতুন, জেলা মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জোবাইদা খাতুন, বোয়ালিয়া ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইউনুস আলী,উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম টাইগার, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোমিন বিশ্বাস, বোয়ালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ সাধারন সম্পাদক ও ইউ পি সদস্য রমজান আলী, উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান বাবু, উপজেলা কৃষক লীগের সহ- সভাপতি শহিদুজ্জামান আনসারী, উপজেলা রিকশা ভ্যান শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম, আওয়ামী লীগ নেতা একরাম হক প্রমুখ।

২০০৪ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার সমাবেশে অতর্কিতে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। মারা যান আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী।

সাংবাদিকেরাও আহত হন। আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ছিল ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের কালরাতের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতা। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে সংগঠনের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলের প্রথম সারির নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যেই ওই ঘৃণ্য হামলা চালায় ঘাতক চক্র।তখন ক্ষমতায় ছিল বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার।

সেদিন ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী’ শান্তি সমাবেশের আয়োজন করেছিল তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ। আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশের আগে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে স্থাপিত অস্থায়ী ট্রাকমঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা শেষ হওয়ার পরপরই তাঁকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা শুরু হয়। বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হতে থাকেন  একের পর এক গ্রেনেড।

কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুহুর্মুহু ১৩টি গ্রেনেড বিস্ফোরণের বীভৎসতায় মুহূর্তেই মানুষের রক্ত-মাংসের স্তূপে পরিণত হয় সমাবেশস্থল। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ পরিণত হয় এক মৃত্যুপুরীতে।স্প্লিন্টারের আঘাতে মানুষের হাত-পাসহ বিভিন্ন অংশ ছিন্নভিন্ন হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে। সভামঞ্চ ট্রাকের চারপাশে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায় রক্তাক্ত নিথর দেহ।

লাশ আর রক্তে ভেসে যায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের সামনের পিচঢালা পথ নিহত ও আহত ব্যক্তিদের জুতা-স্যান্ডেল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে পুরো এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। ভেসে আসে শত শত মানুষের গগনবিদারী আর্তচিৎকার। বেঁচে থাকার প্রাণপণ চেষ্টারত মুমূর্ষুদের কাতর-আর্তনাদসহ অবর্ণনীয় মর্মান্তিক সেই দৃশ্য।

আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন রহনপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও (সাবেক) মেয়র গোলাম রাব্বানী বিশ্বাস, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নারী নেত্রী আইভি রহমানসহ শাহাদাত বরণকারী শহীদদের স্মরণে দোয়া করা হয়।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর