[email protected] ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১
thecitybank.com

ভোলাহাটে ফেইসবুক পোস্ট দেওয়ায় সাবেক শিবির নেতাকে পেটানোর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি:

প্রকাশিত:
১৫ আগষ্ট ২০২৩, ২১:৩১

ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে জাতীয় শোকদিবস ১৫ আগষ্টকে নিয়ে শিবির নেতার পোস্ট দেখে তাঁকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ভোলাহাট উপজেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১৫ আগষ্ট) সকাল ১১টার দিকে ভোলাহাট মোহবুল্লাহ কলেজ গেটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুতে উপজেলা  শিবিরের সাবেক সভাপতি মোঃ সোহেল রানা তাঁর নিজস্ব ফেইসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দেন। পোস্টটিত তিনি লেখেন, ”জীবনের শেষ মুহূর্তে আল্লামা সাঈদি (রঃ) এর পরিবারের সদস্যদের পর্যন্ত কাছে যেতে দেয়নি হায়নারা, ঢাকায় একটা জানাযা পর্যন্ত পড়তে দেয়নি, এবার চিন্তা করে বলুন যে, ৭৫'র১৫ আগষ্ট কতটা জরুরি ছিল?”

 এ পোস্টকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপজেলা সভাপতি মোঃ আশরাফুল ইসলাম, বর্তমান উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আহসান হাবীব, মোঃ টমাস, মোঃ মোরশালিম, মোঃ আহাদ, আমান, মোঃ কাউছারসহ অন্যদের বিরুদ্ধে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্র থেকে আরোও জানা যায়, মেডিকেল মোড়স্থ একতা মার্কের ২য় তলার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে মো: সোহেল রানা নিচে নেমে আসলে মেডিকেল মোড় মুজিব চত্বর থেকে কলেজ গেটে পর্যন্ত মারতে মারতে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের নেতারা। তাদের হাতে থাকা বাঁশ ও বেল্ট দিয়ে বেধরক পিটাতে থাকে সোহেল রানাকে।

 এ সময় সোহেলের মাথা ফেটে রক্তাক্ত অবস্থার সৃষ্টি হয়। পুলিশ উদ্ধার করে তাঁকে ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

দায়িত্বরত চিকিৎসক শ্রী আশিষ কুমার জানান, সোহেলের মাথায়, দু'চোখে ও হাতে আঘাত লেগেছে। তবে চোখের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ প্রেরণ করা হয়।

 এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় উপজেলায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ভোলাহাট থানার ওসি মোঃ সেলিম রেজা জানান, এখন পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি।

ভোলাহাট উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব বলেন, আমি বেড রেস্টে আছি, যারা বলেছে তারা অযথা ছাত্রলীগের নামে দুর্নাম ছড়াচ্ছে।

এছাড়া তিনি আরোও বলেন, আমার জানামতে, আগস্টের প্রোগ্রাম ছিল সকালে পতাকা উত্তোলন ও পুষ্প অর্পণ। সে প্রোগ্রাম শেষ করে সবাই বাড়ি যাওয়ার পথে এরকম অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে, হতে পারে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী ছিল তারা। এর চাইতে বেশি কিছু আমার জানা নেই। আমরাও বিষয় টা পর্যালোচনা করার চেষ্টা করছি।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর