প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হতে কী কী দলিল প্রয়োজন হবে, তা নির্ধারণ করে একটি পরিপত্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেখানে মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্টধারীদেরও ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, আজ বুধবার ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে এ–সংক্রান্ত পরিপত্রটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্ট সব হাইকমিশনার/রাষ্ট্রদূত বরাবরও পরিপত্রের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে। সেখানে ভোটার হতে সব মিলিয়ে ১১ ধরনের দলিল প্রয়োজন হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সব দলিল সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হতে যেসব দলিল প্রয়োজন হবে, সেগুলো হলো ১. অনলাইনে পূরণ করা আবেদনপত্র ফরম।
২. নির্বাচন কমিশনের ‘বিশেষ এলাকা’ হিসেবে ঘোষিত চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৬টি উপজেলা/থানার জন্য অতিরিক্ত তথ্যসংবলিত ‘বিশেষ তথ্য ফরম’।
৩. মেয়াদসংবলিত বাংলাদেশি পাসপোর্টের কপি/মেয়াদোত্তীর্ণ বাংলাদেশি পাসপোর্টের কপি/বিদেশি পাসপোর্টের কপি/সংশ্লিষ্ট দেশে বসবাসকারী এনআইডিধারী ব্যক্তির কাছ থেকে আবেদনকারী বাংলাদেশি মর্মে নেওয়া প্রত্যয়নপত্র (নির্ধারতি ফরমে)।
৪. বাংলাদেশি জন্মনিবন্ধন সনদের কপি (অনলাইন ভেরিফায়েড)।
৫. পাসপোর্ট সাইজের এক কপি রঙিন ছবি।
৬. আবেদনকারীর বাবা-মায়ের এনআইডির কপি/বাংলাদেশি অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের কপি/বাংলাদেশি মৃত্যুসনদের কপি (মৃত হলে)/পাসপোর্টের কপি/ওয়ারিশ সনদের কপি/বাংলাদেশের বাসিন্দা মর্মে নাগরিক সনদের কপি/দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
৭. শিক্ষা সনদের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
৮. ড্রাইভিং লাইসেন্স/টিআইএন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
৯. নিকাহনামা এবং স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
১০. আবেদনকারীর নাগরিকত্ব সনদ (কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান/মেয়র/সিইও/প্রশাসক কর্তৃক) (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
১১. সংশ্লিষ্ট ঠিকানাসংবলিত ইউটিলিটি বিলের কপি/হোল্ডিং ট্যাক্স রসিদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, অনলাইনে পূরণ করা আবেদনপত্রের তথ্য সংশ্লিষ্ট ভোটার এলাকার নির্বাচন কর্মকর্তার সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদন আবশ্যক হবে।
ডেস্ক/ই.ই
মন্তব্য করুন: