প্রকাশিত:
২৪ মে ২০২৫, ১৭:০৯
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সম্ভাব্য পদত্যাগের খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিএনপি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে তৎপরতা শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মূলত কোনো রাজনৈতিক দলই তাঁর পদত্যাগ চায় না; বরং বেশিরভাগ দল চাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে নির্দিষ্ট সময়সীমা ও পদ্ধতি নির্ভর একটি সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ।
এই প্রেক্ষাপটে শনিবার (২৪ মে) বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি দল যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানা গেছে।
বিশ্বস্ত সূত্রগুলো বলছে, বিএনপি ও জামায়াতের পক্ষ থেকে অধ্যাপক ইউনূসকে অনুরোধ জানানো হতে পারে যেন তিনি পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। বৃহস্পতিবার রাতেই বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামীসহ বেশ কয়েকটি দলের নেতারা একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং একটি ঐকমত্যে পৌঁছান—তাঁরা একত্রে অধ্যাপক ইউনূসকে পদত্যাগ না করার আহ্বান জানাবেন।
এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কয়েকটি রাজনৈতিক দল প্রধান উপদেষ্টার কাছে সাক্ষাতের সময় চায়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিএনপিকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় সময় দেওয়া হয়েছে। জামায়াতের প্রতিনিধি দল সন্ধ্যা ছয়টায় বৈঠকে অংশ নেবে বলে জানা গেছে।
এর আগে জামায়াত আমির শফিকুর রহমান একটি বিবৃতি দিয়ে সর্বদলীয় আলোচনার আহ্বান জানান এবং গতকাল সকালে যমুনায় গেলেও তিনি অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ পাননি।
অধ্যাপক ইউনূস বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে হঠাৎ এক আলোচনায় পদত্যাগের কথা বলেন। ওই সময় তিনি চলমান রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক জটিলতা, একাধিক পক্ষের অসহযোগিতা, আন্দোলনের কারণে রাস্তাঘাট অচল হওয়া এবং বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক ঐক্যের অভাব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের ইঙ্গিত পাওয়ার পরপরই উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। সেনানিবাসে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের বক্তব্য—যেখানে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলা হয়—তা নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়।
এনসিপির শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, অধ্যাপক ইউনূস বেশ কিছু কারণে ক্ষুব্ধ ও হতাশ। এর মধ্যে রয়েছে: সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কের জটিলতা, ইসির আচরণ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বাতিলের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া, ইশরাক হোসেনকে মেয়র পদে বসানোর দাবিতে আন্দোলনের যমুনার সামনে পৌঁছে যাওয়া এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা ও মতভেদ।
ডেস্ক/আআ
মন্তব্য করুন: