প্রকাশিত:
১৬ এপ্রিল ২০২৫, ২৩:২৯
কৃষক মাঠ ব্যবসায় স্কুল একটি উপানুষ্ঠানিক ও বয়স্ক শিক্ষণ পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে একদল কৃষককে উচ্চমূল্য ফসল নির্বাচন থেকে শুরু করে খরচের হিসাব-নিকাশের ভিত্তিতে উৎপাদন, সংগ্রহ ও লাভজনকভাবে বিপণনের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম করে তোলা হয়। যাতে করে প্রচলিত কৃষি কাজকে ব্যবসা হিসেবে পরিচালনায় দক্ষ হয়ে ওঠেন।
বাজার পরিভ্রমণের মাধ্যমে ফসলের বাজার চাহিদা-সরবরাহ নিরূপণ, উৎপাদন পরিকল্পনা, ক্রেতা নির্বাচন ও সংযুক্তি, ব্যবসা পরিকল্পনা, মূল্যচেইন বিশ্লেষণ, কৃষি ব্যবসা পরিচালনার রেকর্ডপত্র সংরক্ষণ, আয়-ব্যয়ের হিসাব বিশ্লেষণ ইত্যাদি কৃষক ব্যবসায় স্কুলের উল্লেখযোগ্য বিষয়।
এদিকে বুধবার ১৬ এপ্রিল সকালে পার্বতীপুর ইউনিয়নের রাহেগ্রাম এলাকায় চলমান একটি কৃষক মাঠ স্কুল পরিদর্শন ও মাঠ দিবস করেন, রাজশাহী অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রজেক্ট অফিসার মো: আশরাফুল আলম। এসময় তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার , সংরক্ষণ কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলাম, পার্বতীপুর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল।
কৃষকরা জনান, আমরা প্রচলিত পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতাম। না বুঝে যখন-তখন জমিতে বিষ ছিটাতাম। এতে খরচ বাড়ত। স্কুল থেকে জেনেছি এতে পরিবেশও দূষিত হয়। এখন আমরা উপকারী ও ক্ষতিকর পোকা চিনেসে অনুযায়ী কীটনাশক ছিটাই কৃষক মাঠ স্কুল আমাদের জীবনে সচ্ছলতা এনে দিয়েছে।
গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সদিচ্ছা কৃষি এখন বানিজ্যিক এবং যান্ত্রিকীকরণ কৃষিতে রূপান্তর হয়েছে। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের কৃষিকে স্মার্ট কৃষিতে রূপান্তর করতে ও নিরাপদ খাদ্যের জন্য কৃষক মাঠ স্কুল দারুণ ভূমিকা রাখছে। স্কুলে শেখানো কৃষিপ্রযুক্তির শিক্ষা মাঠে প্রয়োগ করে উপজেলার অনেক কৃষকের ভাগ্য বদলে গেছে। ভবিষ্যতে এই স্কুলের কার্যক্রম আরও বাড়ানো হবে।
কৃষি কাজে কৃষকের ব্যবসা মানসিকতার উন্নয়ন ঘটানো উচ্চমূল্য ফসলের উৎপাদন, সংগ্রহ, সংগ্রহ-পরবর্তী ও বিপণনের প্রতিটি স্তরে হিসাব-নিকাশ সংরক্ষণের সক্ষম করে তোলা, উচ্চমূল্য ফসলের মূল্য চেইনে সম্পৃক্ত অংশীজনের সাথে সংযুক্ত থেকে পণ্যের মূল্য নির্ধারণে তাদের খরচভিত্তিক কার্যক্রম বিশ্লেষণে পারদর্শী করে তোলা
নিয়মিত বাজার পরিভ্রমণ ও যোগাযোগের মাধ্যমে বাজারে পণ্যের চাহিদা সরবরাহ অনুধাবন ও ক্রেতা অনুসন্ধানে সক্ষমতা অর্জন।
সিফাত রানা/আআ
মন্তব্য করুন: