[email protected] ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ৩রা এপ্রিল ২০২৫, ১৯শে চৈত্র ১৪৩১
thecitybank.com

বিক্রি হচ্ছে না সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা পেঁয়াজ

নিজস্ব প্রতিনিধি:

প্রকাশিত:
২৫ মে ২০২৪, ১০:০৬

প্রতীকী ছবি

সরজমিনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কাঁচা বাজার গুলোতে দেখা যায় ইন্ডিয়িান পেঁয়াজের চাইতে অধিক হারে বিক্রি হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ। ক্রেতা ও বিক্রেতারা বলছেন, দেশি পেঁয়াজ ও আমদানিকৃত ইন্ডিয়ান পেঁয়াজের দাম প্রায় একই হওয়ায় ক্রেতারা দেশি পেঁয়াজই বেশি কিনছেন। আর ইন্ডিয়ান পেঁয়াজের দাম বেশি এবং বিক্রি না হওয়ার আশংকায় খোলা বাজারে আমদানিকৃত ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ আনছেন না বিক্রেতারা।

শুক্রবার (২৪ মে) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শিবগঞ্জ ও কানসাট কাঁচা বাজার এবং শনিবার (২৫ মে) সদর উপজেলার পুরাতন বাজার ও নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়।

শিবগঞ্জ কাঁচাবাজারের ইজ্জাতদার মো: রোকন আলী বলেন, গত কয়েকদিনে ৫ থেকে ৬ গাড়ি মতো ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ নিয়ে এসেছিলাম কিন্ত এখন পর্যন্ত এক গাড়ি পেঁয়াজও বিক্রি হয়নি।

বিক্রি না হওয়ার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশি পেঁয়াজ ও ইন্ডিয়ানি পেঁয়াজের দাম বাজারে প্রায় একই। তাই সবাই দেশি পেঁয়াজ কিনছে। সরকার যদি ৪০ শতাংশ ভ্যাট কমিয়ে দেয় তাহলে ইন্ডিয়ান পেঁয়াজের দাম কমবে তখন বেঁচা বিক্রি হবে বলে আশা করছি।

মের্সাস সানাউল্লাহ এন্টারপ্রাইজের মো: কেতাব আলী জানান, গত এক সপ্তাহ থেকে দেশি পেঁয়াজ ৬২ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরকার যদি এলসি পেঁয়াজের ৪০ শতাংশ ভ্যাট উঠিয়ে নেয় তাহলে এলসি পেঁয়াজের দাম হবে ৪০ থেকে ৪২ টাকা। তখন দেশি পেঁয়াজের চাইতে ইন্ডিয়ান পেঁয়াজের দাম কম হবে। ক্রেতারা ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ কিনবে।

সদর উপজেলা পুরতান বাজারের খুচরা পেঁয়াজ ব্যাবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৬১ থেকে ৬৫ টাকায় কিন্ত ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বাজারে আনলে ৬৮ থেকে ৭২ টাকায় বিক্রি করতে হবে। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজের তুলনায় দেশি পেঁয়াজের দাম তুলনামূলক কম। তাই ক্রেতারা দেশি পেঁয়াজ বেশি কিনছে। আর ইন্ডিয়ান পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ার কারণে আমরা ছোট ব্যাবসায়ীরা ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বাজারে নিয়ে আসতে পারছি না।

চাঁপাইনববাগঞ্জ পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবু সুফিয়ান বলেন, বাজারে তেমন ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ দেখতে পাচ্ছি না। তাছাড়া দেশি পেঁয়াজ ইন্ডিয়ান পেঁয়াজের চেয়ে সুস্বাদু। তাই দেশি পেঁয়াজ ইন্ডিয়ান পেঁয়াজের চেয়ে কম দামে পেলে ক্রেতারা দেশি পেঁয়াজই কিনবে।

সোনামসজিদ সিএন্ডএফ এজেন্ট ও বি.এইচ টের্ডাস এর স্বত্তাধিকারী বাবুল হাসনাত দুরুল বলেন, ভারত থেকে আমরা পেঁয়াজ আমদানি করেছিলাম। সব খরচ বাবদ এই পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে পড়েছিল ৭৮ টাকা করে। আমরা গড়ে ৫৫ থেকে ৭৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করেছি। তাতে আমাদের প্রতিকেজি পেঁয়াজে গড়ে ১০ টাকা করে লস হয়েছে।

সোনামসজিদ স্থল শুল্ক বন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মো: হারুন অর রশিদ বলেন, প্রতি টন পেঁয়াজ ইন্ডিয়া থেকে ৫৫০ ডলারে কিনতে হচ্ছে। আবার তার উপর ৪০ শতাংশ ভ্যাট আরোপ আছে। এজন্য প্রতিদিন ২ থেকে ৪ গাড়ি ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ দেশে ঢুকছে।

এছাড়া তিনি আরোও বলেন, দেশি পেঁয়াজের তুলনায় ইন্ডিয়ান পেঁয়াজের দাম বেশি। তাই সাধারন ক্রেতারা দেশি পেঁয়াজ বেশি কিনছে। আড়তদ্বারা অল্প পরিমানে পেঁয়াজ বাজারে নিয়ে গেলেও তা বেশি বিক্রি হচ্ছে না। সরকার যদি ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ উপর আরোপকৃত শুল্ক কমিয়ে নেয় তাহলে ইন্ডিয়ান পেঁয়াজের দাম কমবে।

সোনামসজিদ স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গ নিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক সমির চন্দ্র ঘোষ জানান, গত ৯ মে থেকে ১৪ মে পর্যন্ত সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ২১টি আইপির মাধ্যমে ৯৯৭ দশমিক ৪০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।

এমএএ/আআ


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর