[email protected] ঢাকা | মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১লা আশ্বিন ১৪৩১
thecitybank.com

মৌচাষে গোমস্তাপুরের মনিরুলের বছরে লাভ ১০ লাখ টাকা

Faysal

প্রকাশিত:
১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১৬:১৬

মৌচাষী মো: মনিরুল ইসলাম। ছবিঃ চাঁপাই জার্নাল

মৌচাষ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মনিরুল এখন লাখপতি মৌমাছি চাষ করে সফল ও স্বাবলম্বী হয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাষী মো: মনিরুল ইসলাম। তার মৌ খামারে ৪জন শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে মধু সংগ্রহ করেন তিনি। মো: মনিরুল ইসলামের বাড়ি গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউনিয়নের লক্ষিপুর গ্রামে।

মনিরুল ইসলাম ২০১০ সালে ১৩ টি বাক্স বসিয়ে মধু চাষ শুরু করেন। এরপর স্থানীয় সরকারের বিভন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৪০টি ডিজিটাল বক্সসহ আর্থিক সহোযোগিতা পান তিনি। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) গোমস্তাপুরে মনিরুলের খামারে গিয়ে দেখা যায়, ১০০টি বাক্সে মৌচাষ করছেন তিনি। বাক্সের ভেতর থেকে ভোঁ ভোঁ শব্দ আসছে প্রশিক্ষিত মৌমাছির। বাক্সগুলোর ওপরের অংশটা মোড়ানো কালো রঙের পলিথিন ও চট দিয়ে ঢাকা।

মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি ২০১০ সালে ১৩টি বক্স নিয়ে মৌমাছি চাষের যাত্রা শুরু করি। মৌমাছি চাষ একটি লাভজনক ব্যাবসা তাই ১৪ বছর যাবত করছি, এখনো ছাড়তে পারছি না। প্রতি বছর ১৭৫ থেকে ২০০ মণ মধু উৎপাদন করি, যা বিক্রি করে ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা মতো লাভ থাকে। তবে এই বছরে আমার ৮০ টি মতো বাক্স নষ্ট হয়ে গেছে তাই এবার একটু মধু উৎপাদন কমে গেছে।

তিনি আরোও বলেন, মৌমাছি চাষে আয়ের উৎস সব চাইতে বেশি। এই চাষে কোন একটা জিনিস ফেলে দেবার মতো নয়। মরা মৌমাছিটিও কাজে লাগে। প্রপালেস, রয়েল জেলি, মৌামছির বিষ আমরা সংগ্রহ করতে সংক্ষম। কিন্ত আমাদের দেশে ব্যাণিজিকভাবে বাজারজাত করার ব্যাবস্থা এখনো নেই, তাই বেশি লাভবান হতে পারছি না। শুধু এখন আমাদের বাজার মধু ও মমের উপর নির্ভরশীল। আমরা যদি এক কেজি রয়েল জেলি সংগ্রহ করি, তাহলে তার মূল্য পাবো এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা, এক কেজি পোপালেসের মূল্য ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। তিনি মধু সংগ্রহের বিষয়ে আরোও বলেন, আমরা সাধারনত কাঠের বক্স ব্যাবহার করি, যা দিয়ে শুধু মম ও মধু সংগ্রহ করা যায় কিন্ত ডিজিটাল বক্স দিয়ে মম, মধু, পরাগ রেনু, পুলেন, পোপালেস ও মৌমাছির বিষ সংগ্রহ করা যায়।

এছাড়া তিনি আরোও বলেন, অনান্য বছরের তুলনায় এবার মধুর বাজার অনেক বেশি। বাংলাদেশের মধু সবচাইতে ভালো মধু। কারণ সরিষা, তিল, লিচু, বরইসহ আরোও অনেক কিছু থেকে আমরা মধু সংগ্রহ করতে পারি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন, গত বছর ২৪ হাজার ৮৩৫ হেক্টরে সরিষা আবাদ করেছিলাম। এই বছরে চলতি মৌসুমে জেলার ৫টি উপজেলায় সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল ৩২ হাজার ১৭২ হেক্টর জমিতে আর আবাদ হয়েছে ৩০ হাজার ৫৫০ হেক্টরে। তিনি আরোও বলেন, মৌচাষ করলে সরিষার ফলন আরও ভালো হয় এবং মৌচাষ একটি ব্যাপক লাভজনক ব্যবসা।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর